অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে নতুন ইতিহাস টাইগারদের

টেস্টে খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এতোদিন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে কোনো জয় ছিল না বাংলাদেশের। অবশেষে সেই অধরা লক্ষ্যে পৌঁছে গেল সাকিব-তামিম-মুশফিকরা।

একই সঙ্গে লেখা হলো নতুন ইতিহাস। কিন্তু কে বলবে এই ম্যাচটা এভাবেই জিতে যাবে টাইগাররা। না হলে কেন এত রং বদলাবে মিরপুর টেস্ট।

প্রথম দুই দিন ম্যাচের লাগাম বাংলাদেশের হাতেই ছিল। তবে তৃতীয় দিনে সেটা কেড়ে নেয় অজিরা। শুধু তাই নয়, দুই উইকেটে ১০৯ রান নিয়ে দিন শেষ করা অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৫৬ রানের। কিন্তু সবচেয়ে ভয়ের যে কারণ ছিল সেটা অপরাজিত থাকা হওয়ার দুই অধিনায়ককে নিয়ে। এর মধ্যে ওয়ার্নার তো ছিলেন এক কথাই ভয়ংকার। হারলেও এদিন সেই রুপটা আরও একবার দেখিয়ে গেছেন এই অজি ওপেনার। তবে ওয়ার্নার পর্যন্তই।

সাকিবের বলে ওয়ার্নার ফিরে যাওয়ার পরই ধসে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার সমৃদ্ধ ব্যাটিং লাইনআপ। চেষ্টা করেও সেটা আর কেউ আটকাতে পারেনি। এমনকি শেষ দিকে প্যাট কামিন্স ৫৬ বলে ৩৩ রান কিংবা ইনজুরিতে পড়া হ্যাজলউড ব্যাট হাতে মাঠে নেমেও হার এড়াতে পারেননি। জয়ের লক্ষ্য থেকে ২০ রানে দূরে থাকতেই গুটিয়ে যায় অজিদের ইনিংস।

বোলিংয়ে অবশ্য আলাদা করেই বলতে হচ্ছে সাকিবকে নৈপূন্যটাকে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট নিয়েছে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এছাড়া প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটসহ মোট ৫ উইকেটটি পেয়েছেন মিরাজ। এবং দুই ইনিংস মিলে তাইজুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ উইকেট।

এর আগে, তামিম ইকবালের ৭৮ রানের ওপর ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রান করে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে প্রথম ইনিংসের ৪৩ রানের লিড নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৬৫ রানের। টেস্টের তৃতীয় দিন যে রান টপকে যাওয়ার আভাস দিলেও চতুর্থ দিনে বাংলাদেশি স্পিনারদের নৈপুণ্যে ২৪৪ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

Check Also

ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র

জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।