সাভার: সাভারে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার আপন দুই সহোদর ভাইসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের বাগ্নিবাড়ি ভোমকা এলাকায়।
গণধর্ষণের স্বীকার ওই তরুণীর মামাতো ভাই ফরিদ শিকদার জানান, তার মামাতো বোন (১৭) বৃহস্পতিবার বিকেলে তার বন্ধু শরীফকে নিয়ে বাগ্নিবাড়ি ভোমকা এলাকায় বেড়াতে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই তরুণীর বন্ধু শরীফকে ধরে পিটিয়ে আহত করে তাকে একটি স্থানে আটকে রেখে ওই তরুণীর চোখ বেঁধে জঙ্গলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
সাভার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সেলিম মন্ডলের আপন ভাই, মোহসিন মন্ডল, জুয়েল মন্ডল, খালাতো ভাই হামিদ মন্ডল, চাচাতো ভাই তানভীর মন্ডল ও পারভেজ নামের আরেক যুবক।
এ সময় ওই তরুণী ধর্ষণে বাধা দিলে ধর্ষণকারীরা তরুণীকে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় বলেও জানান ধর্ষিতার মামাতো ভাই।
পরে বিকেলে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ (ইএমও) সামছুল নাহার বলেন, ধর্ষণের স্বাকীর ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টফ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
যুবলীগ নেতার ভাইরা গণধর্ষণের সাথে জড়িত থাকায় বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে মোবাইল ফোনে ধর্ষণকারীদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
তরুণীকে গণধর্ষণের বিষয়টি জানা নেই বলে জানিয়েছে সাভার মডেল থানার (ওসি) তদন্ত শওকতুল।
তিনি বলেন, আমি এখন ধামরাইয়ে আছি। আপনারা থানার ওসি সাহেবকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন।
ধর্ষণের স্বীকার ওই তরুণীর বাড়ি বিরুলিয়ার আক্রান পূর্বপাড়া এলাকায়। তার বাবা পেশায় অটোচালক। আর ধর্ষণকারীদের বাড়ি আক্রান ও কালিয়াকৈর এলাকায়।
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।