ভারতের কুখ্যাত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের পর ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান হিসেবে বারবারই উঠে এসেছে হানিপ্রীত ইনসানের নাম। বলা হচ্ছে, তিনি ধর্ষক ধর্মগুরুর দত্তক মেয়ে। কিন্তু, সেই হানিপ্রীতের জীবনও কম রহস্যে মোড়া নয়!
পালিত মেয়ের সঙ্গেই নাকি শারীরিক সম্পর্ক ছিল ‘বাবা’র! এবং সেই সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। রাম রহিম জেলে যাওয়ার পরেই এমন অভিযোগ করেছেন হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, ১৯৯৯ সালে বিশ্বাসের সঙ্গে হানিপ্রীতের বিয়ে হয়। তখন হানিপ্রীতের নাম ছিল প্রিয়াংকা তানেজা। বিশ্বাস এবং প্রিয়াংকার দুই পরিবারই রাম রহিমের ভক্ত। বিশ্বাসের স্ত্রী হিসেবেই প্রিয়াংকার পরিচয় হয় রাম রহিমের সঙ্গে।
তখনই নাকি ‘বাবা’র নজরে পড়েন প্রিয়াংকা। এর পর ২০০৯-এ প্রিয়াংকাকে দত্তক নেন ‘বাবা’। সেই সময়েই নাম পাল্টে যায় প্রিয়াংকার। নতুন নাম হয় হানিপ্রীত ইনসান। রাম রহিম ওই নামেই ডাকতেন ‘মেয়ে’কে। তার পর থেকেই ‘বাবা’র ছায়াসঙ্গী হানিপ্রীত। এর পর বিদ্যুৎ গতিতে উত্থান হানিপ্রীতের।
বিশ্বাসের অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে কখনোই একসঙ্গে থাকতে পারেননি তিনি। বরং রাম রহিমের বিলাসবহুল ‘গুফা’য় তার স্ত্রী থাকতেন ‘বাবা’র সঙ্গে। হানিপ্রীতের সঙ্গে যৌন সম্পর্কও ছিল রাম রহিমের, এমন অভিযোগও তুলেছেন তিনি।
বিশ্বাসের ভাষ্য : ‘আমি তখন ‘গুফা’য় বাবার ঘরে থাকতাম। আমার স্ত্রী-ও বাবার সঙ্গে ছিল। একদিন অসাবধানবশত বাবার ঘরের দরজা খোলা ছিল। দেখলাম, বাবা আর আমার স্ত্রী চরম আপত্তিকর অবস্থায়। আমাকে দেখে ওরা তো একেবারে থ! এর পর থেকেই বাবা আমাকে হুমকি দিতে থাকেন। বলেন, এ নিয়ে মুখ খুললে আমাকে মেরে ফেলবেন।’
২০১১ সালে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা রুজু করেন বিশ্বাস। হানিপ্রীতও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে পণের দাবির অভিযোগ করেন। সে বছরই হানিপ্রীতের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় বিশ্বাসের। হানিপ্রীতের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় স্ত্রী ও ‘বাবা’র বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ ফিরিয়ে নেন বিশ্বাস। আদালতের বাইরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়। তবে তাতেও রাগ কমেনি বিশ্বাসের।
তার দাবি, ‘হানিপ্রীতকে দত্তক নেয়ার পেছনেও বাবার অন্য উদ্দেশ্য ছিল। আমার স্ত্রী সুন্দরী হওয়ায় তাকে ভোগ করতে চেয়েছিলেন বাবা।’ সিরসার ডেরা ছেড়ে আপাতত আত্মগোপন করেছেন বিশ্বাস। তবে এখনও খুনের হুমকি পাচ্ছেন বলে অভিযোগ তার।