মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দেশটির উচিত আন্তর্জাতিক আইন ও অঙ্গীকার অনুসরণ করে চলা ও নাগরিকদের আক্রমণ থেকে বিরত থাকা। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি এক বিবৃতিতে বলেন, বার্মা বা মিয়ানমারের মানুষের জন্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে তবে রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও হত্যার ব্যাপারে উচিত দেশটির সংযম দেখানো। যুক্তরাষ্ট্র একই সঙ্গে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার নিন্দা জানায়।
নিকি হ্যালি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উচিত সহিংসতা রোধে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা। নিরাপরাধ বেসামরিক ও সহায়তাকারী শ্রমিকদের ওপর আক্রমণ না চালানো এবং প্রয়োজনে তাদের সহায়তা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করা।
বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের বিষয়টি আলোচনা হবার পর নিকি হ্যালি এ বিবৃতি দিলেন। তবে নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি জাতিসংঘ।
রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, হতাহতের ঘটনা ঘটে এবং হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৫ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান আশ্রয় নিয়েছে। ২০১২ সাল থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর এধরনের নির্যাতন চলে আসছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারে গণধর্ষণ, গুম. হত্যা, নিষ্ঠুর নির্যাতনের কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা জানান, গত কয়েক সপ্তাহে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।