মায়ের স্বপ্ন পূরণে নড়াইলে নির্মিত হয়েছে ‘মর্তুজা কটেজ’। বাড়ির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। নতুন এই বাড়িতেই ঈদুল আযহার ঈদ করবেন ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ মাশরাফি বিন মর্তুজা ও তার পরিবারের সদস্যরা। নড়াইলে ঈদ করতে শেকড়ের টানে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি পৌঁছাছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা। এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ে সাকিবসহ বাংলাদেশ টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাশরাফির মা। ওয়ানডে ক্রিকেটেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভালো খেলার প্রত্যাশা মাশরাফির মায়ের।
জানা যায়, নড়াইল শহরের মহিষখোলা এলাকায় প্রায় তিন কাঠা জমির ওপর নতুন দুইতলা (ডুপ্লেক্স) বাড়ি নির্মাণ করিয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দ্বিতলা বাড়িটির প্রতিটি তলায় রয়েছে এক হাজার ২৫০ স্কয়ার ফিট জায়গা। এই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় রয়েছে-একটা বড় রুমসহ চারটি বেডরুম। প্রতিটি বেডরুমের সাথে বাথরুম ও বারান্দা।
এছাড়া বড় একটি বারান্দা বা ব্যালকনি রয়েছে। দোতলায় আরো আছে পারিবারিক কক্ষ (ফ্যামিলি লিভিং রুম) ও হালকা রান্না ঘর (ড্রাই কিচেন)। এই বাড়িটির নিচতলায় রয়েছে বড় হল রুম, ডাইনিং, রান্নাঘর, গেস্ট বেড রুম, কমন বাথরুম ও গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা। এদিকে, ভক্তদের জন্য নিচতলায় থাকছে বড় হলরুম।
এই খবরে খুশি মাশরাফি ভক্তরা। শহরের মহিষখোলার ইমরান হোসেনসহ ভক্তরা জানান, ভক্তদের সব সময়ই মূল্যায়ন করেন এই ক্রিকেট তারকা। এজন্য তিনি তার নতুন বাড়িতেও ভক্তদের জন্য বড় হলরুম নির্মাণ করেছেন।
মাশরাফির মা হামিদা মর্তুজা বলাকা বলেন, ছেলের দেয়া নতুন বাড়ি পেয়ে খুশি হয়েছি। এ এক অন্যরকম অনুভূতি। আর মাশরাফি যেন সারাজীবন ১৮ কোটি মানুষের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে।
এদিকে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ঐতিহাসিক জয়ে সাকিবসহ বাংলাদেশ টিমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মাশরাফির মা। ওয়ানডে ক্রিকেটেও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভালো খেলার প্রত্যাশা মাশরাফির মায়ের। স্বপ্ন দেখেন আগামী বিশ্বকাপ ক্রিকেটেও ভালো করবেন মাশরাফিরা। অপরদিকে, আগামি ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে নড়াইলের উন্নয়নে ‘রান ফর নড়াইল’ এ অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে মাশরাফি বিন মর্তুজার।
রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে যা বললেন মাশরাফি
অস্ট্রেলিয়াকে ঢাকা টেস্টে হারিয়ে প্রশংসায় ভাসছে টাইগাররা। তবে বাংলাদেশের আজকের সফলতার পেছনে যার অবদান সবচেয়ে বেশি, তিনি মাশরাফি বিন মতুর্জা। সর্বনাশা ইনজুরির করাল থাবায় না পড়লে তিনি হয়তো এই টেস্টে খেলতেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। সশরীরে না থাকলেও সারাক্ষণই ছিলেন সতীর্থদের সাথে। অস্ট্রেলিয়া সিরিজ উপলক্ষে যে অনুশীলন চলেছে সেখানে নিয়মিতই ছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়াকে যখন তার সতীর্থরা হারিয়ে ঐতিহাসিক এক আনন্দের উপল এনে দিলেন, তখন মাশরাফিও চুপ করে থাকতে পারেননি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করলেন মনের সব আবেগ আর অনুভূতি। সতীর্থদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় মেতে উঠলেন তিনি। তামিম ইকবালকে আখ্যা দিলেন বিশ্বের সেরা ওপেনার হিসেবে। তাইজুলকে বললেন, সেরা বোলিং পার্টনার। মিরাজ তো রক। আর মুশফিকুর রহিম হয়তো বেঁটে-খাটো। কিন্তু নেতৃত্বে অনেক উঁচু।
মাঠে অন্যদের সহযোগিতা ছিল দুর্দান্ত।
এরপরই সাকিব আল হাসানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন মাশরাফি। তিনি সাকিবকে আখ্যায়িত করলেন একজন জীবন্ত কিংবদন্তি হিসেবে। বললেন, সাকিব যখন লড়াই করে তখন আর কেউ তার মতো পারে না। সাকিবের জন্মই হয়েছে শুধু ২২ গজের জন্য।