মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য বাংলাদেশের দরজা খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে তুরস্ক। আর এজন্য রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয়ে যে খরচ হয় তা দেয়া হবে বল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাব্লাট ক্যবোসগ্লু।
ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি আয়োজিত ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান।
তুরস্কের স্থানীয় সংবাদপত্র ডেইলি সাবাহর এক প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
ম্যাব্লাট ক্যবোসগ্লু বলেন, ‘আমরা ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) মাধ্যমেই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নিচ্ছি। এ বছরই রাখাইন রাজ্যের সংকট নিয়ে ওআইসির একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধানে যা করা দরকার করব।’
তুরস্কোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এই মানবিক সংকট সমাধানে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরদোগান ঈদুল আযহা উপলক্ষে ১৩টি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে কথা বলেন। যেখানে তিনি রাখাইন রাজ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়াও তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে গঠিত কাউন্সিলের প্রধান ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের সঙ্গেও কথা বলেন।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রতিক সহিংসতায় ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ৭৩ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
অপরদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত ১০ দিনে ৯০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম নারী-পুরুষ ও শিশু আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এছাড়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে রাখাইনে অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন।