চট্টগ্রাম টেস্টে স্কোর একপর্যায়ে ১১৭/৫ দেখতে বিদঘুটে মনে হলেও দিনশেষে ২৫৩/৬ দেখতে মোটেও খারাপ লাগার কথা নয়।
তবে ৬ উইকেটের জায়গায় ৫ উইকেটও হতে পারত, যদি না সাব্বির রহমানের বিতর্কিত আউটটি না দিতেন আম্পায়ার।
দিন শেষে মুশফিকুর রহিম ৬২ ও নাসির হোসেন ১৯ রানে সাজঘরে গেছেন। কালকে তারা আবার দিন শুরু করবেন।
এরআগে ইনিংসের শুরুতেই টাইগারদের উপর চেপে বসে অজি স্পিনার ন্যাথান লিয়ন। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে টপ অর্ডারের ৪ উইকেটসহ তিনি তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৯ রানে নিজের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই তামিমকে লেগ বিফোরের (এলবিডব্লিউ) ফাঁদে ফেলেন লিয়ন।
তামিম ইকবালের পর ব্যক্তিগত ৪ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ওয়ান ডাউনে নামা ইমরুল কায়েস। দলীয় ২১ রানে অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার লিয়নের বলে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন তিনি।
মধ্যাহ্ন বিরতির ঠিক আগে লিয়নের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে লিয়নের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন তিনি।
এরপর মধ্যাহ্ন বিরতির পর ব্যক্তিগত ৩১ রানে লিয়নের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন মুমিনুল হক। একাদশে ফিরে বড় ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিলেও তা করে দেখাতে পারেননি তিনি।
মুমিনুলের পর ভরসা ছিল সাকিব আল হাসান টেনে নেবেন টাইগারদের ইনিংস।
কিন্তু সেও হতাশ করে ব্যক্তিগত ২৪ রানে অ্যাস্টন আগারের বলে উইকেট রক্ষক ম্যাথু ওয়েডের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
এরপরেই দলের দুঃসময়ে জুটি গড়েন মুশফিক ও সাব্বির। ৬ষ্ঠ উইকেটে তারা ১০৫ রান সংগ্রহ করার পরে আউট হন সাব্বির রহমান। তিনি ৬৬ রান করেন।
সোমবার সিরিজের দ্বিতীয় বা শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ ম্যাচ শুরু হয়।