ডেস্ক: মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দেশটির সাথে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মালদ্বীপ।
এ ছাড়াও জাতিসংঘের মহাসচিব, তুরস্ক ও ইন্দোনেশিয়ার সরকার ও বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
মালদ্বীপ ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনে তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্নের কথা বলা হয়।
বিবৃতিতে মালদ্বীপ বলেছে, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গাদের হত্যা করে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। প্রাণভয়ে গত ১০ দিনে সীমান্ত পেরিয়ে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। অভিযানে কমপক্ষে ৪০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় মালদ্বীপ উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলেছে, রক্তপাত বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত এবং দৃঢ়ভাবে কাজ করতে হবে। এর অংশ হিসেবে মালদ্বীপ সরকার মিয়ানমারের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যতক্ষণ না পর্যন্ত মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে অত্যাচার করছে তা প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকারের লঙ্ঘনের দিকে নজর দিতে মালদ্বীপের সরকার জাতিসংঘের মহাসচিব ও জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে অনুরোধ জানিয়েছে।’
এর আগে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে গত শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি একে গণহত্যা বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে ফোন করে তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশকে সহায়তার অঙ্গীকার করেন।
ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনতো মারশুদি আগামী সোমবার মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান অং সান সু চির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধের আহ্বান নিয়ে তিনি মিয়ানমারে যাচ্ছেন।