চলতি বছরের জুন মাসে অ্যাসিড হামলার শিকার হয়েছিলেন ব্রিটেনের রেশম খান। পেশায় মডেল ওই তরুণী ধরেই নিয়েছিলেন তাঁর ক্যারিয়ার শেষ! দুষ্কৃতীর ছোড়া অ্যাসিডে মুখ ও হাতের অনেকটাই পুড়ে গিয়েছিল রেশমের।
তবে মনের জোর হারাননি তিনি। চিকিৎসকদের উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। তার ফলও পেলেন হাতেনাতে। মাত্র ৩ মাসের মাথায় পুরোপুরি আগের চেহারায় ফিরে গিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ও ব্লগে ছবি-সহ নিজেই গোটা বিষয়টা জানিয়েছেন রেশম।
তিনি জানান, ২১ জুন সকালে ভাই জামিল মুক্তারের সঙ্গে গাড়ি করে এক জায়গায় যাচ্ছিলেন। ট্র্যাফিক সিগন্যালে অপেক্ষারত অবস্থায় হঠাৎ তাদের লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ে এক তরুণ। মুহূর্তের মধ্যে তাঁর সমস্ত জামা কাপড় অ্যাসিডে জ্বলে যায়। এর পর গাড়ি থেকে বেরিয়ে তাঁরা প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে সাহায্যের আর্জি জানান। এগিয়ে আসেনি কেউই। প্রায় ৪৫ মিনিট বাদে একজনের সাহায্যে স্থানীয় একটি হাসপাতালে পৌঁছয় রেশম ও জামিল। তার পর শুরু হয় তাঁদের চিকিৎসা।
অবস্থা এমনই দাঁড়ায়, রেশম ঠিক করে তাঁর চোখ পর্যন্ত বন্ধ করতে পারছিলেন না। চামড়ায় টান ধরে গিয়েছিল অ্যাসিডের তীব্রতায়। তাঁরভাই জামিলের জখম ছিল আরও গুরুতর। তাঁর ডান চোখটি ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে চিকিৎসকরা হাল ছাড়েননি। ধীরে ধীরে দু’জনকেই সুস্থ করে তুলেছেন তাঁরা।
রেশমা ও জামিলের সার্জারির জন্য প্রয়োজন ছিল বিপুল টাকার। গো ফান্ড মি নামের একটি ওয়েবসাইট চালু করে সেখানেই চিকিৎসার জন্যে টাকা তোলা হয়। সফল প্লাস্টিক সার্জারির সাহায্যে যে এত সহজেই আগের রূপ ফিরে পাওয়া যাবে, তা ভাবতে পারেননি রেশমও। উল্লেখ্য, ওই অ্যাসিড হামলার অভিযোগে জন টমলিন নামে এক যুবককে (২৫) গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। খবর এবেলার।