সাতক্ষীরার আশাশুনিতে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের এক মেম্বারের নেতৃত্বে ৫টি প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় কমপক্ষে ৬ জনকে পিটিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
বুধবার গভীর রাতে আশাশুনি উপজেলার কুল্ল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন, পলাশ ঘোষ, উজ্জল ঘোষ, বাবুলাল ঘোষ, কালিপদ ঘোষ, সুমন ঘোষ ও সুকুমার ঘোষ। এ ঘটনায় পুলিশ শাহরিয়ার ও চঞ্চল নামের দুই যবুককে আটক করেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী শংকর ঘোষ জানান, স্থানীয় গোলযোগকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষেদের ১৩ নং ওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার বাহিনী রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালায়। এতে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়। সন্ত্রাসী বাহিনীরা চলে যাওয়ার সময় কচুয় সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে চলে যায়। মন্দিরের ভাঙচুরকৃত মূর্তিগুলোর মধ্যে বিষ্ণু, ব্রম্মা দূর্গা, কার্তিকসহ ৫টি মূর্তি রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঙ্গুর হোসেন জানান, আমি সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার ও তার বাহিনী এ কাজ করেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি স্থানীয় গুনাকরকাটি বাজারে চুল ছাটাই করছিলাম। আমার দুই ভাগ্নে শুভ ও শাওন আমাকে নিতে আসছিল। পথিমধ্যে কচুয়া ঘোষ পাড়া নামকস্থানে আসলে কিছু যুবক আমাকে নিয়ে কটুক্তি করছিল। এ সময় আমার ভাগ্নেদের সাথে তাদের কথাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সঠিক নয় বলে তিনি জানান।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম সাহিন জানান, সেখানে চারটি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে শাহরিয়ার ও চঞ্চল নামের দুই যুবককে আটক করা হয়েছ। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় যেই দোষী হোক না কেন, তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।