নাজমুল আলম মুন্না, সাতক্ষীরা। খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ এনজিও সুশীলনের বিরুদ্ধে কয়েক কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাকির অভিযোগ উঠেছে।
খুলনার রূপসা উপজেলার ১ নং আইচগাতী ইউনিয়নের শিরগাতী গ্রামের গাজী আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি সংক্ষুদ্ধ হয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে এক সপ্তাহের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব দিতে বলা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণকারী এ্যাড. মল্লিক আল হেলাল জানান, রূপসা উপজেলার শিরগাতী গ্রামের গাজী আসাদুল্লাহর পক্ষে গত ২৪ আগস্ট গ্যারান্টেড এক্সপ্রেস পোস্টে তিনি এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। যা যথাসময়ে সুশীলন কর্তৃপক্ষ রিসিভ করেছেন।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সুশীলন সাতক্ষীরা, খুলনা ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দেশি -বিদেশী ডোনারদের অর্থায়নে সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। খুলনাতে সুশীলনের ২ টি জেনারেল একাউন্ট রয়েছে যার একটি ডাস-বাংলা ব্যাংক ও এসিসি ব্যাংক। ঐ একাউন্ট ২ টি সুশীলনের অপ্রদর্শীত ও অজ্ঞাত আয় দারা পরিচালিত হয়। আজ পর্যন্ত এগুলোর কোন অডিট হয়নি। বর্তমানে ধরা পড়ার ভয়ে হিসাব ২ টি বন্ধ রাখা হয়েছে। নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৭ সাল থেকে এ ২টি ব্যাংক ইিসাবের লেনদেন শতকোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। যেখান থেকে কয়েক কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাকি দেওয়া হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশের অপরাংশে উল্লেখ করা হয়েছে, সুশীলনের নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা নুরুজ্জামানের বাল্যবন্ধু শাহিদুর রহমান সুশীলনে কর্মরত অবস্থায় কেয়ার বাংলাদেশের “ফ্রেস প্রকল্পে ” জালিয়াতি করে ধরা পড়েন। তিনি রাজস্বের জাল চালান ও স্ট্যাম্প তৈরি করে ৯৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকার ভ্যাট – ট্যাক্স সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে যেটা কেয়ারের অডিটে ধরা পড়ে। ঐসময় অভিযুক্ত শাহিদুরকে আইনের আওতায় না এনে তাকে মোস্তফা নুরুজ্জামানের অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তর করেন। একই পদ্ধতিতে সুশীলন প্রধান বিভিন্ন দেশি -বিদেশি প্রকল্প থেকে আরও অনেক ভ্যাট- ট্যাক্সের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে নোটিশে বলা হয়।
লিগ্যাল নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পেলে তার মক্কেল পরবর্তীতে আইনি প্রক্রিয়া হিসাবে মামলা করবেন বলে খুলনা জজকোর্টের আইনজীবি মল্লিক আল হেলাল জানান। এবিষয়ে সুশীলন প্রধানের বক্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল 01720-510199 নাম্বারে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি