মিয়ানমারের সঙ্গে একাত্ম ভারত। রাখাইন (আরাকান) প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক এক সম্মেলনে গৃহীত এক ঘোষণা বা ডিক্লারেশন অনুমোদনে তাই অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত।
ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় ‘ওয়ার্ল্ড পার্লামেন্টারি ফোরাম অন সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট’ সম্মেলন। সেখানে গৃহীত হয় ‘বালি ডিক্লারেশন’। এ সম্মেলনে ভারতের লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের নেতৃত্বে রয়েছে প্রতিনিধি দল। কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তারা ওই ঘোষণা অনুমোদন দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে লোকসভা সচিবালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই ফোরামের সমাপনী অনুষ্ঠানে যে ডিক্লারেশন দেয়ার কথা প্রকৃত পক্ষে সে জন্য যে ডিক্লারেশন ঘোষণা করা হয়েছে তা ‘টেকসই উন্নয়নের’ বৈশিক মূলনীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। এতে আরো বলা হয়, ভারত বার বার বলেছে, পার্লামেন্টারি ফোরামের এই সম্মেলন হলো টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে পারস্পরিক ঐক্যমত। এ লক্ষ্য পূরণে প্রয়োজন অংশগ্রহণমূলক ও ব্যাপকভিত্তিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিন্তু যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে রাখাইন রাজ্যের সহিংসতা। এই ঘোষণা ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেয়া হয় নি এবং এটা যথার্থ নয়। এই ঘোষণার যে অংশে ভারতের আপত্তি রয়েছে তাতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতায় অন্যদের সঙ্গে ভারতও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ঘোষণায় সব পক্ষকে স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও সহিংসতা থেকে নিজেদেরকে সর্বোচ্চভাবে বিরত রাখা, রাখাইনের সব মানুষের অধিকারের প্রতি সম্মান দেখানো, সব ধর্ম ও জাতির প্রতি সম্মান দেখানোর কথা বলা হয়েছে। সেখানে মানবিক সহায়তার নিরাপদ নিশ্চয়তার কথা বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ভারতীয় প্রতিনিধি দল এ অবস্থান নিয়েছেন তাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মিয়ানমার সফরে গিয়ে ‘এক্সট্রিম ভায়োলেন্সের’ বিরুদ্ধে অং সান সুচি সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
Check Also
ট্রাইব্যুনালে আ.লীগ নেতাদের বিচার দেখতে এসে যা বললেন সাঈদী পুত্র
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে …