স্টাফ রিপোর্টার ::
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পুলিশের হাত থেকে আসামিকে ছিনিয়ের নেওয়ার ঘটনায় রফিকুল ইসলাম বুলিকে প্রধান আসামী করে ৫৪ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন চৌধুরী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
শুক্রবার সকালে আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের তালতলা হতে পুলিশের হাত থেকে রফিকুল ইসলাম বুলি নামক আসামিকে ছিনিয়ে নেয় কতিপয় সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাদের হামলায় আহত হন পুলিশের একজন এসআইসহ চার সদস্য। বুলি প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানান, এসআই নয়ন চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশের চার সদস্য রফিকুল ইসলাম বুলিকে তার বাড়ি কুড়িকাহনিয়া থেকে গ্রেফতার করে। তাকে তালতলা বাজার পর্যন্ত নিয়ে আসতেই অনুসারীরা পুলিশের ওপর বাঁশের লাঠি, লোহার রড এবং ইটপাটকেল নিয়ে হামলা করে বুলিকে ছিনিয়ে নেয়। বুলি নিজেও পুলিশকে মারধর করেন।
তবে উপপরিদর্শক (এসআই) নয়ন চৌধুরী জানান, একাধিক মামলার আসামি রফিকুল ইসলাম বুলিকে গ্রেফতারের জন্য তারা তালতলা বাজারে আসেন। গ্রেফতারের আগেই তাদের ওপর হামলা করে বুলির লোকজন। এতে তিনি নিজে, এএসআই তুহিন, কনস্টেবল জাহাঙ্গির ও কনস্টেবল মুস্তাফিজ আহত হন। এঘটনায় এসআই বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে পুলিশকে মারপিট করে আসামি ছিনতাইয়ের খবর পেয়ে কালিগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মীর্জা সালাহউদ্দিন ও আশাশুনি থানার ওসি শাহিদুল ইসলাম শাহিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
আশাশুনি থানার ওসি শাহিদুল ইসলাম শাহিন বলেন, সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অপরাধে ৫৪ জনের নাম উল্লেখ করে দুইশ থেকে আড়াইশ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।##