বি.এইচ.মাহিনী ঃ শীতের শুরু হতে এখনো অনেক বাকী। এরই মধ্যে অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর জনপদের বাঘুটিয়া, শ্রীধরপুর, শুভরাড়া, সিদ্দিপাশা ও দক্ষিণ নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নের বিভিন্ন সবজি বাজারে বাজারে উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন রকমের সবজি। শীম, শসা, করলা, টমেটো, কলা, লাউ, ঢেরসসহ অসংখ্য প্রজাতির সবজি। এবার আবহাওয়া কৃষকদের সমভাবাপন্ন হওয়ায় শীতের আগেই শীতকালীন সবজি বিশেষত শসার বাম্পার ফলন দেখা যাচ্ছে। দক্ষিণ নড়াইলের বিছালী ও অভয়নগরের শ্রীধরপুর ইউনিয়নের সীমান্তে বসছে সবচে’ বড় সবজি হাট। এখানে প্রতিদিন প্রায় হাজার মন শসা সবজি ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এছাড়াও ভৈরব উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সরকারী ইজারাপ্রাপ্ত একমাত্র সবজি বাজার অভয়নগর উপজেলার শুভরাড়া ইউনিয়নের রানাগাতীর ঐতিহ্যবাহী গ্রামের বালুর মাঠ সংলগ্ন ‘ভৈরব সবজি বাজার’। এছাড়াও শ্রীধরপুরের দিয়াপাড়া, বাঘুটিয়ার শিবনগর, শংকরপাশা, চাকই বাজারে শসা-সবজির হাট বসে প্রতিদিন। এসকল বাজারে চোখে পড়ার মতো সবজি হলো শসা। প্রতিদিন উক্ত হাটে সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে কেনাবেচা। এরপর শুরু হয় উক্ত মালামাল দেশের বিভিন্ন বড় বড় শহর ও মোকামে নেওয়ার কাজ। রাত অবধি চলে এ কাজ। এরপর এসব শসা-সবজি ঢুকছে নড়াইল হয়ে ঢাকাসহ এর আশেপাশের জেলা শহরগুলোতে। সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় বিক্রেতা ও ক্রেতা কারোরই খাজনা দেয়া লাগে না। হাট কমিটির সভাপতি ইউনিয়ন আ’লীগের সা.সম্পাদক মহিউদ্দীন খান মহির জানালেন পাশ্ববর্তী যে কোনো হাট থেকে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের খাজনা না থাকা ও সুযোগ সুবিধা বেশি থাকায় দূর দূরন্ত থেকে ছুটে আসছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। হাট মালিক ১নং ওয়ার্ডের মেম্বর সালাম খান বলেন, পরিষদের মাধ্যমে এ সবজি বাজার বসানো হয়েছে। যার সুফল আজ এলাকার সবজি চাষীরা ভোগ করছে। দূরে কোথাও তাদের যাওয়া লাগে না। বাজারের পাশে রানাগাতী পুলিশ ক্যাম্প থাকায় ব্যাপারীরা তাদের অর্থ-কড়ি নিরাপত্তার সাথে আনা-নেওয়া করতে পারে। এ ব্যাপারে সবজি ব্যাপারী ইমলাক, মাসুদ মিয়া ও কামরুজ্জামান জানালেন আমরা এখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাই। তবে যাতায়াত ব্যবস্থা আরো ভালো হওয়া দরকার। সবজি চাষী আকরাম শেখ জানান, এ হাটটি না হলে আমাদের বর্ণী, নওয়াপাড়া বা ফুলতলায় যেয়ে সবজি বিক্রি করতে মন প্রতি ৪০-৬০ টাকা খরচ হতো। তাছাড়া একটা দিনও চলে যেত। আমি ৮ বিঘার ঘেরে শসা লাগিয়ে আজ ২১ মন পেয়েছি। যা ৫’শ ৮০টাকা দরে বিক্রি করেছি। নায্য মূল্য পাচ্ছেন তাই বেজায় খুশি কৃষকরা।
১০-০৯-১৭
অভয়নগরে ভৈরব নদীর শাখা নদে লেবুগাতী সেতুতে যান চলছে ঝুঁকিতে : সংস্কার দাবি
বি.এইচ.মাহিনী ঃ একটি মাত্র সংযোগ সেতু। যার উপর নির্ভর করছে হাজারো মানুষের জীবন নির্বাহ। দু’দশকের বেশি সময় আগেকার এ সেতুটির আজ ভগ্নদশা। দেখার যেন কেউ নেই। স্থনীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বর ইতিপূর্বে বহুবার সেতু বিভাগের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে বিষয়টি আনলেও কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। অভয়নগর উপজেলার ভৈরব উত্তর জনপদের শুভরাড়া ইউনিয়নের লেবুগাতি গ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত ভৈরব নদীর শাখা নদের উপর নির্মিত একমাত্র এ ব্রীজটির প্রতি। এখন সেতুটির অবস্থা দারুন খারাপ। রয়েছে ভেঙ্গে পড়ার ঝুকিতে। অথচ প্রতিনিয়ত পার হচ্চে ভারী যানবাহন বিশেষত লোড ট্রাক ও বাস। এ পথ দিয়ে আইয়ান জুট মিল, আকিজ জুট মিলস্ ও পায়গ্রাম কসবার চামড়ার মিলে প্রতিনিয়ত ছুটে যায় শত শত যাত্রী। যাত্রীবাহী এসকল বাস যখন এ সেতুর উপর দিয়ে যায় মনে হয় এই বুঝি ভেঙ্গে পড়ল সেতু। সরজমিনে ব্রীজের নিচে গিয়ে দেখা যায়, নব্বই ফুট লম্বা ব্রীজটির মাঝে মাত্র দুটি পিলার। যার একটি অর্ধেকের বেশি ভেঙ্গে গেছে। রড বেরিয়ে গেছে। যেখানে মাছ শিকারীরা (জেলে) প্রতিনিয়ত নৌকা বেঁধে মাছ শিকার করছে। ভৈরব উত্তর জনপদের শংকরপাশা খেয়াঘাট থেকে আমতলা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কি.মি সড়কের মধ্যে অবস্থিত এই লেবুগাতী ব্রীজটি। ১৯৯০-৯১ অর্থ বছরে ত্রাণ ও পুর্নবাসন মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে উক্ত ব্রীজটি ১৯৯৩ সলে নির্মিত হয়। এলাকাবাসী জানান, ব্রীজটি যদি এক্ষুনি সংস্কার করা না হয়। তবে ছোট দূর্ঘটনায় লক্ষাধিক মানুষের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে। তখন সরকারের খরচও বাড়বে। অন্যদিকে ভৈরব ব্রীজের কাজ আগামি বছর শেষ হলে উক্ত ব্রীজের চাপ আরো কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। এ বিষয়ে সংবাদপত্রের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি করেছেন স্থানীয় জনসাধারণ ব্রীজ সংস্কার করে আশু দূর্ঘটনা থেকে মুক্তি দিন। এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বর ইদ্রিস শেখ জানান, এ পর্যন্ত দু’বার ব্রীজ সংস্কারের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েও কোনো ফল পাওয়া যায়নি।