বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচনে ভয় পাই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভয় পায় বলেই তাদের ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করতে হয়।
সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মতো আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনও নিরপেক্ষ হতে হবে।
তিনি বলেন, সঙ্কট সমাধানে সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেদিকে যেতে রাজি নয়। আমরা নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচনে ভয় পাই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ নির্বাচনে ভয় পায় বলেই তাদের ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং’ করতে হয়। আওয়ামী লীগ ভালো করেই জানে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা ক্ষমতায় যেতে পারবে না।
এ সময় রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে ভারত, চীনসহ বিভিন্ন দেশ সফরে বের হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য সরকারকে দ্রুততার সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীকেই বিভিন্ন দেশে সফরে যেতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজকে ভারত ও চীনের কথা বলা হচ্ছে- বারবার যে তারা মিয়ানমার সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে। তাদের কাছেও যেতে হবে, তাদের বোঝাতে হবে যে, এটি আমাদের জন্য কী ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে আসছে। মানবতার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া ঠিক হবে না। কূটনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান হতে পারে।’
আওয়ামী লীগ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে কার্যকর ব্যবস্থা না নিয়ে ভয় পাচ্ছে, মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘তারা (ক্ষমতাসীন দল) বলে যাচ্ছে- রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অস্ত্র ও জঙ্গি আসছে, যা আমাদেরও উৎকণ্ঠিত এবং আতঙ্কিত করছে।’
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই শিকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, মহিলা দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ঢাকা জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, সাবেক সাংসদ রওশন আরা ফরিদ, চট্টগ্রাম জেলা মহিলা দলের সভাপতি জেলী চৌধুরী এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রহিমা শরীফ মায়া প্রমুখ।