স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত গণহত্যার প্রতিবাদে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল সোমবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেছেন, আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার সরকারের নির্যাতনে আরাকান আজ জীবন্ত আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হয়েছে। মায়ানমার সেনাবাহিনী ও মগ দস্যুদের দফায় দফায় সশস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। আগুন লাগিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে লাখো বসত-ভিটা-বাড়ি। শত শত নারীকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। গণহত্যা, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ থেকে বাঁচতে দেশ ছেড়েছে তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। মানবতার এই রক্তক্ষরণ একদিন হয়তো স্বাধীন আরাকান রাষ্ট্রের বীজ বপণে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে ইনশা’আল্লাহ।
মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর সরকার পরিচালিত গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ বন্ধ ও তাদেরকে নাগরিকত্ব প্রদান এবং পুনর্বাসনের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মিছিলটি রাজধানীর গুলিস্তান থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ও এলাকা প্রদক্ষিণ করে বংশালে গিয়ে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, মহানগরী শূরা সদস্য মোকাররম হোসাইন খান, কামাল হোসাইন, শামসুর রহমান, আব্দুস সালাম, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি সোহেল রানা মিঠু, ঢাকা কলেজ সভাপতি আরাফাত সানি, মহানগরী জামায়াত নেতা আমিনুর রহমান, মতিউর রহমান, সগীর বিন সাইদ, শেখ মুহিব্বুল হক ফরিদ, ড. আব্দুল মান্নান, মাওলানা শামীম সাঈদী, ছাত্রনেতা শাহীন আহমদ, তোফাজ্জল হোসাইন, মজিবুর রহমান, মনজুরুল ইসলাম সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া আরো বলেন, মায়ানমারে আজ গণতন্ত্রের আড়ালে চলছে হিটলারী স্বৈরতন্ত্র। বৌদ্ধ ধর্মের ‘অহিংসা পরম ধর্ম’ শ্লোগানের আজ অপমৃত্যু ঘটেছে। আরাকানে বৌদ্ধদের এই জঘন্যতম গণহত্যা, বর্বর নির্যাতন ও জাতিগত নিধন পৃথিবীর ইতিহাসকে কলংকিত করেছে। এই নৃশংস গণহত্যার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে নরপিশাচ মায়ানমার সরকারের বিচার হওয়া উচিৎ। অপরদিকে অর্ধ-বস্ত্রাধীন, আহার-নিদ্রাহীন মৃতপ্রায় এই নারী-পুরুষ ও শিশুরা যখন জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশী মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করছে তখন বাংলাদেশ সরকারের নির্মম আচরণ ও আন্তর্জাতিক মোড়লদের নিরবতা আমাদের বিবেককে স্তব্ধ করে দিয়েছে। তিনি বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়, খাদ্য ও চিকিৎসা নিশ্চিত করা। সেই সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথাযথ দৃষ্টি আকর্ষণের মাধ্যমে এই সংকটের স্থায়ী সমাধান করা। সমাবেশে ও মিছিলে নেতাকর্মীদের দাবি ছিল, মায়ানমারে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন, আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপ, মায়ানমার সরকার ও সামরিক বাহিনীর গণহত্যার বিচার এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব ও পুনর্বাসন করতে হবে।
চট্টগ্রাম অফিস-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশ শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর আ.জ.ম.ওবায়েদুল্লাহ্ বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে (আরাকানে) নিরাপত্তাবাহিনী (মগসেনারা) মুসলিম রোহিঙ্গা নাগরিকদের গণহত্যা, ধর্ষণ,গুলি ও বাড়িতে বাড়িত অগ্নিসংযোগ করে চরম মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে। এই অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের রুখে দাড়াঁতে হবে। নাফ নদীতে রোহিঙ্গা মুসলিম নারী শিশুদের রঅশ ভাস্ছে। আসুন এই জঘন্য মানবতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে আমরা জনমত গড়ে তুলি। তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের মিয়ানমার বিতর্কিত বর্ণবাদী নাগরিকত্ব আইন পাশের পর রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর চরম দমন পীড়ন চালাচ্ছে মগসেনারা। তিনি অবিলম্বে মিয়ানমারে গণহত্যা বন্ধ এবং পালিয়ে আসা মুসলিম রোহিঙ্গা নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে পুনরায় নাগরিকত্ব বহালের জোর দাবি জানান।
মিয়ানমারে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ দিবসে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। উক্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য এম.ছিদ্দিকুর রহমান, নগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদমান সালেহ্, ফারুকে আজম, অধ্যাপক আবু শাফায়াত প্রমুখ। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে মিয়ানমারের মুসলিম গণহত্যা বন্ধ এবং তাদের নাগরিকত্ব পুনর্বহালের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সকালে বহদ্দারহাট মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নগর প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ্, নগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা এম.এ. আলম, জাকির হোসেন, আমির হোসাইন, খালেদুল আনোয়ার, মুহাম্মদ ইসমাঈল, শিবির উত্তর সেক্রেটারি সরওয়ার কামাল সিকদার,শ্রমিক নেতা মকবুল আহমদ ও কামাল উদ্দিন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শুলকবহর গিয়ে শেষ হয়।উক্ত সমাবেশে মহানগরী সেক্রেটারি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী একটি জাতির জনগোষ্ঠীকে উৎখাত করার জন্য এই জঘন্য গণহত্যা ও হামলা চালাচ্ছে। এই মানবতা বিরোধী অপরাধের শিকার নারী,শিশু এবং বৃদ্ধ মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ। ঐতিহ্যগত ভাবে রোহিঙ্গা মুসলমানরা মিয়ানমারের নাগরিক। তিনি অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব পুনর্বহাল এবং তাদের পুনর্বাসনের জোর দাবি জানান। তিনি সকল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দলকে এই সংকট মোকাবেলার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।তিনি অবিলম্বে রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যা বন্ধ করে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে নগরিকত্ব পুনর্বহাল এবং এই সংকট মোকাবেলায় জাতি সংঘ, ওআইসি এবং আসিয়ানভুক্ত রাষ্ট্রের সহযোগিতা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
খুলনা অফিস ঃ বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সরকারের গণহত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে নগরীতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও খুলনা মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. অলিউর রহমান, মো. শাহারুল, মো. আ. আজিজ, মো. ইকবাল, মো. রাকিব মাহমুদ, মোশাররফ আনছারী, আলী হায়দার, মো. টুকু প্রমূখ।
মিছিল শেষে সমাবেশে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী মুসলমানদের গ্রামের পর গ্রাম বোমা মেরে ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিচ্ছে। নারী, পুরুষ, শিশুদের নির্বিচারে হত্যা করছে। নিরীহ ও নিরস্ত্র মানুষকে পাখির মতো গুলী করে হত্যার এমন উন্মাদনার নজির আর একটিও নেই। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সরকার গণহত্যা চালিয়ে তাদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় আমরা বিস্মিত, উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত।
নেতৃবৃন্দ রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর পরিচালিত গণহত্যা বন্ধ করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিকত্ব বহাল ও সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করে পুনর্বাসনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করার জন্য নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘ, ওআইসিসহ সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং বিশেষভাবে মুসলিম রাষ্ট্র ও শান্তিকামী বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, গণহত্যার অপরাধে হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করব, ওআইসি, জাতিসংঘকে নিয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর চলমান গণহত্যা বন্ধ এবং তাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বাস্তবানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বরিশাল অফিস : মিয়ানমারের আরাকান প্রদেশে জাতিগত ভাবে মুসলিম নিধন এবং বর্বর হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন এবং দেশ থেকে পরিকল্পিত বিতাড়িত করার প্রতিবাদে জামায়াতের কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল বরিশালে পালিত হয়েছে। গতকাল সকালে নগরীরর নথুল্লাবাদ সড়কে এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলে নেতৃত্বদেন নগর জামায়াতের অন্যতম নেতা মোঃ নাসির উদ্দিন, মীর মাহবুুবর রহমান, মোঃ শাহীন আলম ও মোঃ জাকির হোসেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের আরাকানের মুসলিমদের উপর বর্বর হত্যাযজ্ঞ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুট-পাট এবং তাদেরকে ঘরবাড়ি থেকে বের করে দেশান্তরীত করছে। দীর্ঘ তিন যুগ ধরে চলা এই হত্যাযজ্ঞ এবং জাতিগত নিধনের কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রিফুজি হয়ে দেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। বার্মার সরকার ও তার সেনারা বিনা করণে রোহিঙ্গাদের উপর যে, জুলুম, নির্যাতন করছে তা পৃথিবীর সকল লোমহর্ষক ঘটনাকে হারমানিয়েছে। আরাকানে বসবাসরত মুসলিম, নারী, পুরুষ ও শিশুদের উপর যে অমানবিক ও বর্বারোচিত নির্যাতন চালাচ্ছে তা মধ্যযুগিয় বর্বতার থেকেও লোমহর্ষক। আরাকানের মুসলিম জনগোষ্ঠির বাড়িঘরে নির্বিচারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে তাদেকে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করছে। আমরার বার্মার সরকারকে হুশিয়ার করে বলতে চাই, যদি মুসলিম জনগোষ্ঠির উপর নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করে আরাকারে তাদের আবাসভুমি ফিরিয়ে দিয়ে তাদের নাগরিতত্বসহ মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করুন। তানা হলে বিশ্ব মুসলিম দেশ গুলোকে সাথে নিয়ে এই জুলুম ও নির্যাতনের রিুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে রোহিঙ্গাদের অধিকার আদায়ে যা করনীয় আমরা তাই কবরো। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে রেহিঙ্গাদের পাশে থেকে তাদের মানবিক সহযোগীতা অব্যহত এবং তাদেরকে আরাকানে ফিরে যেতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে মায়ানমারকে বাধ্য করতে কুটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।
দিনাজপুর অফিসঃ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত গণহত্যা, ধর্ষন, নির্যাতন, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগ বন্ধ করে তাদের বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব বহাল করে তাদের নিরাপদে বসবাস করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার দিনাজপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর উপজেলার রামডুবি এলাকায় এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মোল্লা মোঃ তোয়াব আলী, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ সাদেকুল ইসলাম, সদর উত্তর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোঃ তসলিমুল হক প্রমূখ। বিক্ষোভ মিছিল সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ করে তাদের পূর্ণবাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনে জোর দাবি জানান।
ফেনী সংবাদদাতা : ফেনীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার সকালে শহরের ট্রাংক রোডে ফেনী শহর জামায়াতে ইসলামী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ বন্ধ করে তাদের বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব বহাল করে তাদের নিরাপদে বসবাস করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের ট্রাংক রোড থেকে বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিলে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পলাশ (নরসিংদী ) সংবাদ দাতা : নরসিংদীর পলাশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির উদ্দ্যোগে আয়োজিত মিয়ানমারে আরাকান ও রাখাইন রাজ্যে মুসলমানদের গন হত্যা দর্ষন সহ গ্রামের পর গ্রামে অগ্নিসংযোগ ও পুরিয়ে মারার প্রতিবাদে গত কাল সোমাবার বাদ আসর পলাশ জামালপুর গুদারাঘাট থেকে একটি বিক্ষোব মিছিল আরম্ভ হয়ে প্রান গেইট হয়ে পাইকসা এলাকায় গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও এর অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ সহ সর্বস্তরের ধর্মীয় তৌহিদী জনতা অংশ নেয়। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বক্তাগন বলেন অবিলম্বে মিয়ানমারের হামলা গণহত্যা কেন সুচি সহ জাতিসংঘের কাছে জবাব চাই বলে স্লোগান দেয়। এতে বক্তব্য রাখেন জামায়াতের উপাজেলা আমীর মাও: আবুল কাশেম শিকদার ও সেক্রেটারি মাও: মাহতাব উদ্দিন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ।
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা ঃ রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদে পুলিশের বাঁধার মুখে গণমিছিল করতে না পেরেও বেলকুচি উপজেলা জামায়াতের উদ্দ্যোগে কল্যাণপুর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ও র্যাব রাস্তার মোরে মোরে অবস্থান নিয়ে নেতা-কর্মীদের বিক্ষোব সমাবেশে আসতে বাঁধা সৃষ্টি করে । পুলিশ ও র্যাবের বাঁধা উপেক্ষা করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
গতকাল সোমবার জেলা কর্মপরিষদ সদস্য,বেলকুচি উপজেলা সেক্রেটারি ও উপজেলা ভাইস্ চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে,অন্যান্যোর মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন, বেলকুচি পৌরসভা আমীর হোসাইন আব্দুল্লাহ,নায়েবে আমীর সাইদুল ইসলাম,সেক্রেটারী সারোয়ার জাহান,জামায়াত নেতা মাওলানা ছনোয়ার হুসাইন,মাওলানা হাবীবুল্লাহ,মনিরুর ইসলাম মন্ডল,আবুল হাসানাত মঞ্জু,আলহাজ নূরুল ইসলাম,শ্রমিক নেতা আব্দুর রহিম ও ছাত্রনেতা ওমর ফারুক প্রমূখ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ, মিয়ানমার সরকারের মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় ও রোহিঙ্গাদের ওপর অমানবিক নির্যাতনসহ র্নিবিচারে গণহত্যা বন্ধের জোর দাবি জানান ।
চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ বন্ধ করে তাদের বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে নাগরিকত্ব বহাল করে তাদের নিরাপদে বসবাস করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিতে। গতকাল সোমবার সকালে সারা দেশের ন্যায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ কর্মসূচী পালন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর শহর শাখা। আরাকানে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে তাদের মিয়ানমার থেকে বিতারিত করার ঘটনায় বিশ্ববাসী বিস্মিত ও মর্মাহত।
তাই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর মিয়ানমার সরকারের পরিচালিত জঘন্য গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ও তাদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ অবিলম্বে বন্ধ করে তাদের বাংলাদেশ থেকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিকত্ব বহাল করে তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদাত্ত আহবান জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর শহর শাখা। আরাকানে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর শাখার নেতৃবৃন্দ।
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা ঃ কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল সোমবার রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং নিজ দেশে তাদেরকে ফেরত নেয়াসহ তাদেরকে মায়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদানের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টাঙ্গাইল শহর শাখা। সোমবার বাদ মাগরিব শহরের ঢাকা-মোমেনশাহী সড়কের পানির ট্যাংকি বাজার থেকে ডায়াবেটিক্স হাসপাতাল মোড় পর্যন্ত এবিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মিজানুর রহমান চৌধুরী, সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. হাফিজুর রহমান, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মো. শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মু. সাইফুল ইসলাম, শহর শিবির সভাপতি মু. মুশফিকুর রহীম মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
পাবনা সংবাদ দাতা: মায়ানমার সেনাবাহীনির নির্মম নির্যাতনের শিকার আরাকান রাজ্যের নিরিহ মুসলমানদের রোহিঙ্গাদের উপর স্বরণ কালের ভয়াবহ বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখার উদোগ্যে পাবনা শহরে বি.আর.টি.সি বাস ডিপোর সামনে গত কাল সকাল ১১টায় এক মানব বন্ধন পালন করে । মানব বন্ধনে জেলা জামাত নেতৃবন্দ বলেন শুধু কি মুসুলমান বলে তাদের উপর বর্বরতা চালানো হচ্ছে? অবিলম্বে মায়নমার সরকারকে এ নির্যাতন বন্ধের অহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা ঃ গতকাল (সোমবার) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্র ঘোষিত আরাকানে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে, পুড়িয়ে দেয়া এবং লুন্ঠন ও বিতাড়িত করার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ শহর জামায়াতের উদ্যোগে এবং পৌর জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাঃ আব্দুল লতিফের নেতৃত্বে এক বিশাল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল শহর প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় বাসটার্মিনাল ষ্ট্যান্ডে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন, বিশিষ্ঠ শিক্ষাবিদ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিরাজগঞ্জ শহর শাখার সংগ্রামী আমীর অধ্যাঃ শহীদুল ইসলাম, এছাড়া আলোচনা করেন, অধ্যাঃ আব্দুল লতিফ, একরামুল হক, শাহাদাত হোসাইন প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে বাংলাদেশ সরকারকে মায়ানমারকে চাপ সৃষ্ঠি করে মুসলিম নিধন বন্ধের দাবি জানান।