রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসিলম নিধনযজ্ঞের ঘটনায় বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ আর সমালোচনার মুখে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন না মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি।
মঙ্গলবার বার্মিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউ কিউ জেইয়া দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মনোযোগ দিতে সু চি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি। খবর রয়টার্সের।
আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতিসংঘের সদর দপ্তরে এ ৭২তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে। যা বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে। চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সাধারণ বিতর্ক শুরু হবে ১৯ সেপ্টেম্বর। ‘স্থিতিশীল পৃথিবীতে মানুষের জন্য শান্তি আর মর্যাদাপূর্ণ জীবনের সংগ্রাম’কে উপজীব্য করা হয়েছে এবারের অধিবেশনের।
সঙ্গত কারণেই এবারের অধিবেশনে শিক্ষা, পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন, বাণিজ্য, লিঙ্গ, মানব উন্নয়ন, বিশ্বায়ন, তথ্য-প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনের মতো ইস্যুগুলো প্রাধান্য পাবে। এছাড়া আলোচনায় থাকবে জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০।
রোহিঙ্গা ইস্যু তুলবে বাংলাদেশ: মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেখানকার সেনা বাহিনীর নির্যাতন, হত্যা, তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া এবং প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ায় সৃষ্ট সংকট সাধারণ অধিবেশনে তুলে ধরবে বাংলাদেশ।
এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানও জানিয়েছেন, তিনি জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরবেন।
এমন পরিস্থিতিতে অধিবেশনে না যাওয়ার ঘোষণা এলো মিয়ানমারের পক্ষ থেকে।
বার্মিজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইউ কিউ জেইয়া বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা জরুরি। লোকজন আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এ সময়ে তার দেশে থাকা উচিত। সামগ্রিক বিষয়ে আরও মনোযোগ দিতে তিনি দেশেই থাকছেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সু চি’র বদলে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান থিও মিয়ানমারের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বার্মিজ কর্তৃপক্ষের ধারণা সু চি জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিলে চলমান রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের ঘটনায় বিশ্বনেতাদের তোপের মুখে পড়তে পারেন।