আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা দেয়ার মানসিকতা সরকারের রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাত-আট লাখ যতই হোক আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেয়ার মানসিকতা আমাদের আছে। থাকা-খাওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতার ব্যবস্থা করবে সরকার। তবে অন্য দেশের কোনো নাগরিককে দীর্ঘদিন আশ্রয় দিতে পারব না। চূড়ান্তভাবে মিয়ানমারকে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। এজন্য জাতিসংঘ ও বিশ্ব নেতাদের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা দিয়েছিলেন রেহিঙ্গারা তাদেরই নাগরিক। এখন তারা তাদের নাগরিক হিসেবে অস্বীকার করছেন। বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে তাদের দেশ ছাড়া করেছে। মানবিক কারণে প্রতিবেশী হিসেবে আমরা নির্যাতিতদের আশ্রয় দিয়েছি। কারণ ঘর পোড়ানোর যন্ত্রণা আমি অনুধাবন করতে পারি। ১৯৭১ সালে আমাদের ওপরও এরকম বর্বরতা চলেছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে কেউ কেউ বাণিজ্য করছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ভালো উদ্যোগ নিয়েছে কিন্তু কেউ সে উদ্যোগকে পুঁজি করে নিজের আখের গোছালে, তা বরদাশত করা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক নেতাদের বলব তারা যেন মিয়ানমারকে বাধ্য করে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে। একটা দেশের নাগরিকদের ওপর এভাবে নির্যাতন কখনো কাম্য নয়।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। ক্যাম্পের ভেতর করা মঞ্চে সোয়া ১১টার পরে বক্তব্য দেয়া শুরু করেন তিনি।
ক্যাম্পে পৌঁছে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কয়েকজন শিশুর সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আহত হয়ে আসা এ রোহিঙ্গারা কেঁদে কেঁদে তাদের ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা দেয়। অনেকে প্রধানমন্ত্রীকে মা বলে আখ্যায়িত করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, যুগ্মসম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এমপিসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।