আকবর হোসেন,তালা: তালা উপজেলার মোবারক পুর গ্রামের মৃত সামাদ মোড়ল এবং মা নাছিমা বেগমের ছেলে নিঁখোজ সাগর মোড়ল(১৬) গত ১০ সেপ্টেম্বর বাড়ী ফিরে এসেছে । ভারতের বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বিজিবি যৌথ সমম্ময়ের মাধ্যমে তার মাতা নাছিমা বেগমের কাছে সাগরকে হস্তান্তর করেন । নিঁখোজ সাগর বর্তমানে তার নিজ বাড়ী তালার মোবারক পুরে অবস্থান করছেন ।
ঘটনার বিবরণে, নিঁখোজ হতে ফিরে আসা সাগরের কাছে জানা যায়,গত ২০১৬ সালে এপ্রিল মাসে একদিন সন্ধায় সাগর বাড়ী হতে তালা ইসলামকাটি বাজারে বেড়াতে যায়, হঠাৎ একদল অপহারনকারী তার চোঁখ বেধে ফেলে এবং চেতনানাশক ঔষধ নাকে চেপে ধরলে সাগর অজ্ঞান হয়ে যায়, পরের ২দিন পর সে মুম্বাই শহরে নিজেকে খুজে পায় । সাগর পরে জানতে পারে তাকে যখন অপহারনকারীরা ভারতে মুম্বাই নিয়ে যাচ্ছিল । তখন ভারতের দাদার মুম্বাই নামক রেলষ্টেশনে টহল পুলিশের সামনে পড়ে গেলে অপহরন কারীরা সাগরকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় সাগর ভারতে কোনকিছু এবং কাউকে চিনতে না পারায় অসহায় হয়ে পড়েছিলেন । তখন নিজের বুদ্ধিদিয়ে নিজেকে বাঁচাতে ভারতের মুম্বাই পুলিশের কাছে তার সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন, মুম্বাই পুলিশ তাকে প্রথমে ডংড়ি জেলে নিয়ে যায় সেখানে সাগর ৪ মাস অবস্থান করেন । পরবর্তীতে তাকে স্যান্ট্রাস নামক জেলে ২মাস রাখা হয় । এদিকে সাগর হারিয়ে যাওয়ার খবর বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । এছাড়া সাগরের মা নাছিমা বেগম তালা থানায় একটি ডায়েরী করেন । তালা থানার তৎকালীন পুলিশের অফিসার্স ইনচার্জ সগীর মিয়া এবং উত্তোরণ অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। সাথে সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান ঘোষ কুমার,তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবর রহমান হস্তক্ষেপে কারনে ভারতে থাকা বাংলাদেশের দূর্তাবাসের মাধ্যমে তাকে বাংলাদেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করা হয় । সেই ফলোশ্রুতিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর সাগর মোড়লকে বিএসএফ এবং বিজিবি সমম্ময়ে তার মাতা নাছিমা বেগমের কাছে হস্তান্তর করেন । সাগর বর্তমানে তার নিজ বাড়ী তালার মোবারক পুরে অবস্থান করছেন । সে বর্তমানে সুস্থ্য আছে । তার মা নাছিমা বেগম জানায় আমি আমার ছেলেকে পেয়ে খুবইয় আনন্দীত । আমি বাংলাদেশ সরকারসহ যারা আমার ছেলের জন্য শ্রম দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ ।