ত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. পারভেজ চৌধুরীর সঙ্গে পৌরসভার মাস্টার্স শেষ বর্ষের এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা একে অপরকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সেই প্রতিশ্রতি ভঙ্গ করে পারভেজ চৌধুরী অন্য মেয়েকে বিয়ে করার উদ্যোগ নেন। এতে রাগে-ক্ষোভে প্রেমিক পারভেজের বাড়িতে অনশন শুরু করেন প্রেমিকা।
কিন্তু বাধ সাধে পুলিশ। অনশনের পর পরই প্রেমিকাকে থানা হেফাজতে নিয়ে গেছে পুলিশ।
পারভেজ চৌধুরী মোহনগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর এলাকার মৃত আফজাল হোসেন চৌধুরীর ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকালে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর এলাকায়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, পারভেজ চৌধুরী প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে অন্য মেয়েকে বিয়ে করার উদ্যোগ নিলে প্রেমিকা বিয়ের দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন। অন্যথায় তিনি আত্মহত্যা করার হুমকি দেন।
স্থানীয় লোকজন অনেক বোঝানোর পরও প্রেমিকা তার অবস্থানে অনড় থাকায় পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করে। অবস্থা বেগতিক দেখে ছেলের পরিবার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ রাতে প্রেমিকের বাড়ি থেকে প্রেমিকাকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
মেয়ের মামা গোলাম রব্বানী পুতুলের অভিযোগ, পারভেজ চৌধুরী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পুলিশকে দিয়ে তার ভাগ্নিকে থানায় নিয়ে গেছে।
নেত্রকোনার সহকারী পুলিশ সুপার (বারহাট্টা সার্কেল) শফিউল ইসলাম বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।