ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় আশ্বিনের মাঝামাঝি উঠিল বাজনা বাজি, পূজার সময় এল কাছে। রবীন্দ্র্রনাথ ঠাকুরের কবিতার মতই এই ভাদ্র শেষে আশ্বিনে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। তাই তো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে দেবী দূর্গার আগমনী বার্তা। আর মাত্র কয়েক দিন বাদেই মহালয়ার মধ্যে দিয়ে দেবী দূর্গার আগমন ঘটবে মর্তলোকে। শুরু হবে ২৬শে সেপ্টেম্বর মহাপঞ্চমী দুুর্গোৎসব। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততম সময় পার করছে উপজেলার মৃৎশিল্পীরা। বাঙালী হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। কাঁশফোটা শরতের শারদীয় দূর্গোৎসবকে সামনে রেখে মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। প্রতিমা শিল্পীর কল্পনায় দেবী দূর্গার অনিন্দ্য সুন্দর রুপ দিতে সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত খড় আর কাঁদা মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষ পর্যায় রেখেছে। এরপর শুরু হবে রং ও সাজসজ্জার কাজ। পরম যতেœ মুর্তিগুলোতে অবয়ব দিতে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। এবারের পূজাকে আরো রঙ্গিন করে তুলতে অপরুপ সুন্দর সব প্রতিমা তৈরি করেছেন। ধনি-গরিব বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্র করে মহা-মিলন হয় বলে এ পূজাকে বলা হয় সার্বজনীন পূজা। আর শরৎকালে হয় বলে বলা হয় শারদীয় উৎসব। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করেও সঠিক পারিশ্রমিক না পাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপন করেন এই মৃৎশিল্পীরা। তাই ইতোমধ্যে অনেকেই বাপ-দাদার এ পেশার বদলে অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে আর্থিকভাবে লাভবান না হলেও পৈত্রিক মৃৎ পেশা ধরে রাখতে এ কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা। প্রতিমা তৈরি শিল্পী জয়দেব ভট্রচার্য জানান, নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে এই ভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। পরবর্তীতে আমাদের সন্তানদের এ কাজ করতে দেওয়া যাবে না। কারণ বর্র্তমান যে যুুগ, জিনিস পত্রের দাম বেশী, আমরা সেভাবে মূল্যে পাচ্ছি না। তিনি দুঃখ করে আর বলেন নিত্য পন্য কাঁচা মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিমা তৈরি করে খুব একটা লাভবান হতে পারেন না মৃৎ শিল্পীরা। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবু সিদ্ধিশর চক্রবর্তী জানান, আসন্œ দূর্গাপূজার সব ধরনের প্রস্তুতির কাজ চলছে এখন। প্রতিমা তৈরির কারিগরদের পাশা-পাশি পূজার সার্বিক নিরাপত্তা দেয়ার জন্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর দেবী বোধনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে ৩০শে সেপ্টেম্বর লাখো ভক্তের উপস্থিতিতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র্রসৈকতের লাবনী পয়েন্টে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হবে এ উৎসব। এটিই সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জন উৎসব। এবার উপজেলার মোট ৩৯টি পূজামন্ডপে অনুষ্টিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। গত বছরের চেয়ে এ বছর ১টি পূজামন্ডপ কমে গেছে। এ দূর্গোৎসব জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের। এ উৎসবে সকলকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অংশ গ্রহন করার জন্যে আহবান জানান বাবু সিদ্ধিশর চক্রবতী। এবার দেবী আগমন হবে নৌকায় চড়ে আর প্রস্থান হবে ঘটে চড়ে। এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ জানালেন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে কোন অপ্রতিকার ঘটনা ঘটলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যার-যার স্থান থেকে সকল অফিসারদের দ্বায়ীত্ব পালন করতে হবে। কোন অপশক্তিকে রুখতে দেওয়া যাবে না। তাই আগে থেকে পুজার নিরাপত্তার জন্যে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে এবং ঝুঁকিপূর্ন পূজামন্ডপ গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ, আনছার সদস্য ও গ্রাম পুলিশ মোতায়ন করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
ছবি আছে”””””””
ফিরোজ জোয়ার্দ্দার,স্টাফ রিপোর্টার,
০ ১ ৭ ১ ৩ ৯ ১ ৬ ৫ ৬ ৫
১৩/৮/১৭
Check Also
সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ড (রাজারবাগান ও সরকারপাড়া ইউনিট) এর উদ্যোগে …