এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে তালিকা তৈরির সিদ্ধান্ত স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
ফলে আগের নিয়মেই এমবিবিএস পরীক্ষা হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আপিল আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আগামী ৩ অক্টোবর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ পাঁচ নম্বর কাটার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন আদালত।
স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ইউনুছ আলী আকন্দ নিজে শুনানি করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।
প্রসঙ্গত, গত ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে। অন্যদের কাটা হবে না।
এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক ও সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী দাবি করে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ২৭ আগস্ট হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনে স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিচালক (চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন), বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) চেয়ারম্যানকে রেসপন্ডেন্ট করা হয়েছিল।
পরে গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালত দ্বিতীয়বার অংশ নেয়া পরীক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর থেকে পাঁচ নম্বর কেটে নেয়ার সরকারি আদেশ স্থগিত করেন।