রোহিঙ্গা বিষয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে এক বিতর্কের পরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরোপিয়ান কমিশনকে মিয়ানমার সরকারের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঠেকানোর জন্য গৃহীত যৌথ রেজ্যুলেশনে চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়।
যৌথ রেজ্যুলেশনে শাখারভ পুরস্কারপ্রাপ্ত অং সান সু চি’কে মনে করিয়ে দেওয়া হয়, এই পুরস্কার তাকেই দেওয়া হয় যে মানবাধিকার রক্ষা করবে, সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেবে এবং আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান জানাবে। এছাড়া দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলা হয় যারা এগুলি পালন করবে না তাদের শাখারভ পুরস্কার ফেরত দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে কিনা।
রেজ্যুলেশনে বলা হয়, ইইউ সদস্যরা ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপের জন্য প্রস্তুত এবং মিয়ানমার যেসব বাণিজ্য সুবিধা পেয়ে থাকে সেটি পুনর্বিবেচনা করার বিষয়েও বলা হয়। ৫০ এর অধিক ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য এই যৌথ রেজ্যুলেশন সংসদে নিয়ে আসেন এবং বিতর্কের পরে এটি গৃহীত হয়।
পাশাপাশি রাখাইনে হত্যা, সহিংস ঘটনা, বেসামরিক নাগরিকের সম্পদ ধ্বংস এবং বাস্তচ্যুত হবার ঘটনায় ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণ বন্ধের জন্য মিয়ানমার সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি জোরালো আহ্বান জানায়।
এছাড়া, মিয়ানমার সরকার ও বিশেষ করে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’কে আহ্বান জানানো হয় সব ধরনের জাতিগত ও ধর্মীয় সহিংসতাকে নিন্দা জানানোর জন্য। বাংলাদেশ সীমান্তে ল্যান্ডমাইন সরিয়ে ফেলার জন্য তারা মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
কফি আনান কমিশনের রিপোর্টের বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে রেজ্যুলেশনে দুঃখ প্রকাশ করে বলা হয়, ২০১৫ সালের ১৮ মে অং সানর সুচির রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র বলেছিলেন, মিয়ানমারের সরকারের উচিৎ রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া।
এছাড়া সহিংসতা বন্ধে ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের চীন ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তিকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, ‘আসিয়ান ও আঞ্চলিক সরকারসমূহ যেন মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে মানবাধিকার লঙ্ঘন বন্ধ করে এবং সব বেসামরিক মানুষকে সুরক্ষা ও শরণার্থীদের সহায়তা দেয়।’