রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতা বন্ধে নিরাপত্তা পরিষদে সিদ্ধান্ত

রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতা বন্ধ করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বুধবার রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ব্রিটেন এবং সুইডেনের ডাকা নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এছাড়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে নির্বিঘ্নে ত্রাণ কার্যক্রম চালানোর সুযোগ দিতে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে  সংস্থাটি।

এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সহিংসতা ও সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেছেন, বেসামরিক লোকদের ওপর হামলা ‘একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’ রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর জাতিগত নির্মূল চলছে বলেও মত দেন তিনি। গুতেরেস বলেছেন, রোহিঙ্গা মুসলিমরা ‘ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতিতে’ পড়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে মহাসচিব সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

ব্রিটেন ও সুইডেনের প্রস্তাবে বুধবার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। আশঙ্কা ছিল মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে বৈঠকে কোনো প্রস্তাব বা বিবৃতি দেয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তবে শেষপর্যন্ত চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারে সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে দেয়া বিবৃতিতে সায় দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক তৎপরতাও ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি মাসের শুরুতে নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হলেও চীনের বিরোধিতায় কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়া সম্ভব হয়নি।

বৈঠক শেষে নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি ও ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রদূত তাকেদা আলেমু সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিষদের সদস্যরা মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং রাখাইনে সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।’ বৈঠকে সহিসংতার নিন্দা জানিয়ে রাখাইনে মানবিক ত্রাণ তৎপরতা চালানোর অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন গতরাতে টেলিফোনে  বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। গত ৯ বছরের মধ্যে এই প্রথম নিরাপত্তা পরিষদ এ ধরনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিল।’

মোমেন বলেন, আমাদের আরও অনেক দূর যেতে হবে। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের পরিবর্তে জাতিসংঘে উন্মুক্ত আলোচনার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভাষণ দেবেন।

এদিকে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার অধিকার থাকতে হবে। তাদের নাগরিক অধিকার অথবা অন্তত আইনগত মর্যাদা দিতে হবে যাতে তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। তিনি আইনের শাসন বজায় রাখার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান। বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন বলে জানায় বিবিসি ও এএফপি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা বলতেই তিনি এ সংবাদ সম্মেলনে আসেন।

গুতেরেসের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূল চলছে বলে তিনি স্বীকার করেন কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, ‘এক-তৃতীয়াংশ (রোহিঙ্গা) জনগণ যখন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় তখন সেটা বর্ণনা করতে এর চেয়ে ভালো শব্দ আর কী হতে পারে?’

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ খুঁজে বের করে তার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। কয়েক দশক ধরে পুঞ্জীভূত এ সংকট এখন মিয়ানমারের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে এবং পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।

গুতেরেস বলেন, এক সপ্তাহ আগে যখন তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেছিলেন তখন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল সোয়া লাখ রোহিঙ্গা। কিন্তু এ সংখ্যা এখন তিনগুণের বেশি বেড়ে প্রায় ৩ লাখ ৮০ হাজারে পৌঁছেছে। এটাকে ভয়াবহ মানবিক সংকট আখ্যা দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সহায়তার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অনেকে উদারভাবে আশ্রয় দিচ্ছেন। তবে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুরা ক্ষুধা এবং পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। গুতেরেস বলেন, ‘আমি সব দেশের প্রতি আহ্বান জানাই প্রত্যেকে যার যা সম্ভব মানবিক সহায়তা দিন।’ তিনি মিয়ানমার সরকারের প্রতি জাতিসংঘ ও অন্যান্য বেসরকারি সংস্থাকে ত্রাণ তৎপরতা চালানোর সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান।

রাখাইন ত্রাণ তৎপরতা চালানোর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয় বলে অভিযোগ করেছে মিয়ানমার। সেখানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ত্রাণ তৎপরতা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ত্রাণ সংস্থাগুলো বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের আশু প্রয়োজন মেটাতে ৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে। গুতেরেস এর আগে নিরাপত্তা পরিষদের কাছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি চিঠি লেখেন, যা বিরল ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার চিঠিতে সাড়া দিয়ে নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। এর আগে তিনি সুচির সঙ্গেও টেলিফোনে কথা বলেন। তবে তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরতা তদন্তে গত মার্চে একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল। তবে মিয়ানমার সরকার তদন্তকারীদের সে দেশে ঢুকতে দেয়নি।

নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে জাতিসংঘে ব্রিটেনের উপরাষ্ট্রদূত জনাথন অ্যালেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সহিংসতার অবসান দেখতে চাই। আমরা বার্মায় ও রাখাইনে জনগণের জন্য অবিলম্বে ও ব্যাপকভাবে মানবিক ত্রাণ তৎপরতার সুযোগ চাই। সুইডেনের রাষ্ট্রদূত ওলফ স্কুগ বলেন, তিনি আশা করছেন যে এখন কী করতে হবে সে সম্পর্কে একটি ঐক্যবদ্ধ ফলাফল ও সুস্পষ্ট বার্তা (মিয়ানমারকে) দেয়া হবে। ব্রিটেন ও সুইডেন অং সান সুচিকে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

নিরাপত্তা পরিষদের এ বৈঠক মিয়ানমারের ওপর যথেষ্ট চাপ সৃষ্টি করেছে। বৈঠক আয়োজনের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন সম্মেলনে যোগদান থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন সুচি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনার গুরুত্ব অপরিসীম। এদিকে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের প্রাক্কালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, জাতিসংঘের ক্ষমতাধর এ অঙ্গ সংস্থাটি যদি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো কথা না বলে তবে দেশটিতে নিধনযজ্ঞ অব্যাহত থাকবে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. আলী রিয়াজ বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টি যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে উঠছে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সংকট মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, পাঠ্যবইয়ের ‘জাতিগত নিধনের’ উদাহরণ হয়ে উঠছে এ ঘটনা। এর মানবিক দিকের পাশাপাশি কূটনৈতিক দিকও আছে। আর বিরল ঘটনা হল, জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন নিরাপত্তা পরিষদকে আলোচনায় বসতে। শেষ পর্যন্ত বিষয়টির আন্তর্জাতিকীকরণ হল। তিনি বলেন, এর আগেও রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়েছে তবে এ আলোচনার গুরুত্ব অপরিসীম।

রাখাইন রাজ্যে বর্তমান সেনা অভিযান শুরুর পরও চলতি মাসের শুরুতে একবার নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার কক্ষে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়। যুক্তরাজ্যের উদ্যোগে সেই আলোচনা হয়েছে। তবে বৈঠকে সাহায্য কর্মীদের রাখাইন রাজ্যে যাওয়ার সুযোগ সৃষ্টির আহ্বানসংবলিত একটি বিবৃতি দেয়ার প্রস্তাবের ব্যাপারে চীনের আপত্তি ছিল। এ কারণে বিবৃতি দেয়া সম্ভব হয়নি।
নিরাপত্তা পরিষদের সমালোচনা : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর সেনাবাহিনী বড় ধরনের জাতিগত নিধন অভিযান চালালেও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ তা উপেক্ষা করছে বলে অভিযোগ করেছে শীর্ষস্থানীয় দুটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার বৈঠককে সামনে রেখে এ অভিযোগ করে মানবাধিকার সংস্থা দুটি। তারা জানায়, জাতিসংঘের সবচেয়ে শক্তিশালী সংস্থা হয়েও নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারকে সহিংসতা বন্ধ করতে চাপ দিয়ে রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগ ঠেকাতে যে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তার বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করতে তারা এ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত এইচআরডব্লিউর পরিচালক লুইস শারবন্যু বলেন, মিয়ানমারে যেভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং গ্রামের পর গ্রাম জ্বলছে, তা আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার সংকট। ফলে ইস্যুটি নিজ হাতে মোকাবেলা করার বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের কোনো অজুহাত দেয়ার সুযোগ নেই। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখন যা ঘটছে, তা আগেই অনুমান করা সম্ভব হয়েছিল। তিনি বলেন, এমনটি যে ঘটতে যাচ্ছে, তা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনেক আগেই দেখা দরকার ছিল। অবশেষে গত বছর আমরা ছোট পরিসরে ব্যাপারটি ঘটতে দেখলাম যে রোহিঙ্গারা নিহত হচ্ছে, তাদের গ্রাম আগুনে পুড়ছে। বর্তমানে এসব ঘটনা আরও বড় পরিসরে ভয়াবহভাবে ঘটছে।

রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান জায়েদ রাদ আল হুসেইনের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে শারবন্যু বলেন, এটি বড় ধরনের জাতিগত নিধন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদের দুই সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও সুইডেন কিছু ভালো কথা বলেছে, কিন্তু তাদের উচিত পরিষদকে চাপ দেয়া, যাতে একটি প্রকাশ্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ, তাদের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছানোর সুযোগ দেয়া ও জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের তথ্যানুসন্ধান মিশনকে রাখাইনের ঘটনার তদন্ত করতে দেয়া হয়।

অ্যামনেস্টির জাতিসংঘ কার্যালয়ের প্রধান শেরিন ট্যাডরোস বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা যদি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা না বলে, তাহলে মিয়ানমার সরকারের কাছে যে বার্তা যায় তা ভয়াবহ। তার মানে হল, তাদের নিধনযজ্ঞ অব্যাহত রাখা।’ অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স ডিরেক্টর তিরান হাসান বলেন, পুলিশ চৌকিতে হামলার জবাবে আমরা যা ঘটতে দেখছি, তা আসলে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে চালানো যৌথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। তিনি বলেন, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনার এ ঘটনাকে যে জাতিগত নিধনের আদর্শ উদাহরণ বলেছে, এ ব্যাপারে আমরা সম্পূর্ণ একমত।

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘে এইচআরডব্লিউর কার্যালয়ের উপপরিচালক অক্ষয় কুমার একটি মানচিত্র দেখিয়েছেন, যাতে স্যাটেলাইটে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, ২৫ আগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২১টি জায়গায় আগুন জ্বলছে। এর মধ্যে ৩০ জানুয়ারি মংডুতে যেখানে ৪৫০টি ভবন দেখা গিয়েছিল ২ সেপ্টেম্বর তার সবই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। তিরান হাসানের মতে, মিয়ানমার তার রোহিঙ্গা জনগণকে পুরোপুরি শূন্যে নামিয়ে আনছে।

Check Also

ভোমরা বন্দরে চার মাসে ৪০০ কোটি টাকা আয়

দক্ষিণবঙ্গ সাতক্ষীরার আধুনিক নিরাপদ ও পরিবেশ বান্ধব বাণিজ্যিককেন্দ্র ভোমরা স্থল বন্দর। আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।