নাজমুল আলম মুন্না, সাতক্ষীরা। নারীর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাল্যবিবাহ একটি প্রধানতম অন্তরায়। বাল্যবিবাহের তাৎক্ষনিক নেতিবাচক প্রভাবের চাইতে এর দীর্ঘমেয়াদী কুফল অনেক গভীরে। এজন্য মহামান্য হাইকোর্ট ১০ এপ্রিল ২০১১ তারিখে মুসলিম বিবাহের সময় বর ও কনের আইনগত বয়স সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিবন্ধন করার কথা বলেছেন। তাই আর নয় বাল্যবিবাহ-বিবাহ নিবন্ধনের পূর্বে জন্মনিবন্ধন সনদ বা জাতীয় পরিচয় পত্র পরীক্ষা ও সংরক্ষনের কথা বলেছেন। বাল্যবিবাহের কারনে শিশুদের বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের বিকাশ ও উন্নয়নের পথে ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করে। এইদিক বিবেচনা করে রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বরসা’র নিজস্ব উদ্যোগে সদরের শিবপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে দৈনন্দিন পড়াশোনার পাশাপাশি বরসা’র এক্সট্রাকারিকুলাম কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচীর মধ্যে ছিল বাল্যবিবাহ হ্রাস করনে করনীয়, ইভটিজিং/ যৌনহয়রানী রোধ, মানব পাচার রোধ এবং পারিবারিক নির্যাতনের কারন এবং করনীয় কি। এই সেশনটি পরিচালনা করেন বরসা’র সহকারী পরিচালক মোঃ নাজমুল আলম মুন্না।