মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক দাবি করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রোহিঙ্গাদের বিপন্নতা বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। নাজিবের দাবি অনুযায়ী, দুই নেতার বৈঠককালে তার কাছে রোহিঙ্গাদের বিপন্নতার ব্যাপারে অবগত হন ট্রাম্প। মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তার কাছে রাখাইনের পরিস্থিতি জেনেই ট্রাম্প মিয়ানমারের ব্যাপারে কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বুধবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এবং নাজিবের মধ্যে এক বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে নাজিব বলেন, ‘আমি যখন ট্রাম্পকে বুঝাতে সক্ষম হই যে রোহিঙ্গাদের সমস্যা কতটা প্রকট। তখনই ট্রাম্প জানান কড়া বিবৃতি দিয়ে তারা রেহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের আহ্বান জানাবেন।’ যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাওয়ার আগেই নাজিব প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ত্রাণ পাঠানোর প্রক্রিয়া নির্ধারণে ট্রাম্প তার কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলেও জানান নাজিব। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় মালয়েশিয়ার জনগণের দাবি আমি এভাবে তুলে না ধরলে যুক্তরাষ্ট্র এতটা কঠোর হতো না।’
আলোচনার পর রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে যৌথ বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়া।
২৫ আগস্টের সহিংসতার পর এখন পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৯ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। মোট ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। তাদের মানবিক সুবিধা দিচ্ছে স্থানীয় জনগণ ও সরকার। এগিয়ে এসেছে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংগঠনও।
নাজিব বলেন, মালয়েশিয়া রোহিঙ্গাদের হয়ে কথা বলেই যাবে। এরপর ওআইসি ও জাতিসংঘের মধ্য সংগঠনগুলোর কাছে আহ্বান জানাবে তারা। আশিয়ান নিয়ে তিনি বলেন, এটা মানবিক সংকট। অথচ এখনও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে আশিয়ান। তিনি বলেন, ‘যা হচ্ছে সেটা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অন্যদেশের অভ্যন্তরীন সমস্যায় হস্তক্ষেপ করতে চাই না। কিন্তু এই সংকটে আশিয়ান দেশগুলোর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। এজন্য আমরা মতামত জানাতো বাধ্য হচ্ছি
Check Also
ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি
পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …