মীর খায়রুল আলম,সাতক্ষীরা :দেবহাটার সোর্স নজরুল হত্যাকান্ডের ১৫ দিন বৃহস্পতিবার সকালে লাশ তোলার পর নিজ বাড়িতে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ ও দেবহাটা থানার পুলিশ যৌথভাবে শহরের রসুলপুর কবরস্থান থেকে এই লাশ উত্তোলন করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ঈদুল আযহার পূর্বে ৩০ আগস্ট রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের মোক্তার মোড়লের পুত্র সোর্স পরিচয় দানকারী নজরুল ইসলামকে হত্যার পর সখিপুর হাসপাতালের লাশ রেখে পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় লোডসেডিং থাকায় কাউকে চিনতে পারেনি কেউই। পরে দেবহাটা থানার পুলিশকে খবর দিলে আইনিয় প্রক্রিয়াই লাশের সুরোতহাল সম্পন্ন করে হত্যা মামলা রেকর্ড করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরায় প্রেরণ করা হয়। পরদিন ময়না তদন্ত শেষে লাশের পরিচয় না পেয়ে শহরের রসুলপুর কবরস্থানে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় ফেইসবুকে পোস্ট দেয়া ছবি দেখে নিহতের পরিবার চিনতে পারে। ৪ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা মোক্তার মোড়ল বাদী হয়ে সাতক্ষীরা আমলী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে সিআর নং-৬১/১৭। যা দেবহাটা থানার উপর তদন্তধীন।
এদিকে বৃহস্পতিবার নজরুলের লাশ নিজ বাড়ি দক্ষিণ কুলিয়ায় আনা হলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। পরিবারের সিন্ধান্ত অনুযায়ী বাদ যোহর নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নজরুল হত্যার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানানো হয়।
দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশ হাতে পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের রসুলপুর কবরস্থান থেকে নজরুলের লাশ তুলে পরিবারের কাছে হস্থান্তর করা হয়েছে এবং পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নজরুল একাধীক মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় তদন্ত কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তাছাড়া ঘটনার বিভিন্ন সূত্র ধরে পুলিশ আসামিদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে।