‘নির্বাচনের আগে জোটের রাজনীতিকে স্তিমিত করাই সরকারের উদ্দেশ্য’

নির্বাচনের আগে গুম, খুন করে ২০-দলীয় জোটের রাজনীতিকে স্তিমিত করাই  সরকারের উদ্দেশ্য এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘২০-দলীয় জোট ভাঙার চেষ্টা হচ্ছে। অতীতেও হয়েছে কিন্তু পারেনি। জোট অটুট আছে। বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এমএম আমিনুর রহমানকে গুম করার উদ্দেশ্যেই হচ্ছে ভয় দেখানো এবং জোটের রাজনীতিকে স্তিমিত করে দেয়া।’

শনিবার বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে  এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ২০-দলীয় জোটের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্র যদি জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রতারণা করে সঠিক তথ্য না দেয়, সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী তো রাষ্ট্রই। অথচ সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব হচ্ছে- যদি কেউ গুম হয়ে যায় তাকে খুঁজে বের করা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আশার পর থেকে গুম শুরু হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন তা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে কোনো মানুষের নিরাপত্তা নেই। বর্তমান সরকারের আমলের চৌধূরী আলম, ইলিয়াস আলী থেকে শুরু করে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের ৩০০-এর কাছাকাছি গুম হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গুম হচ্ছে মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ। এর পরিণতি হয় করুণ। একদিন  না একদিন বিভিন্ন দেশে এর বিচার হয়।’

এমএম আমিনুর রহমানসহ সব নিখোঁজ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুটি ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে। সরকার তা মোকাবেলা করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। যে কোনো সভ্য সরকার হলে দেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সভা ডাকতো।’

‘আমরা বারবার আহ্বান জানিয়েছি, রোহিঙ্গা ইস্যু মোকাবেলা করতে জাতীয় ঐক্য তৈরি করা হোক। কিন্তু সরকার তা না করে রোহিঙ্গাদের বিএনপির পক্ষ থেকে ত্রাণ দিতেও বাধা দিচ্ছে’, যোগ করেন তিনি।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম জানান, ২৭ আগস্ট নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয় থেকে সাভারে নিজ বাসার উদ্দেশে রওনা হয়ে এখনও বাসায় পৌঁছেনি এমএম আমিনুর রহমান। তাকে দল ও পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে  উপস্থিত ছিলেন ২০-দলীয় জোটের খন্দকার গোলাম মোর্তুজা, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, অধ্যাপক রেহেনা প্রধান, মোস্তফা জামাল হায়দার, রেদোয়ান আহমেদ, খন্দকার লুৎফর রহমান, গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, মজিবুর রহমান পেশোয়ারি, সাইফুদ্দিন মনি, সাঈদ আহমেদ, মহিদ্দিন একরাম, এমএম রাকিব, সৈয়দ মাহবুব হোসেন।

Check Also

সাতক্ষীরা জেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

শাহ জাহান আলী মিটন, সাতক্ষীরা:সাতক্ষীরা জেলা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।