সাতক্ষীরার ছয়ঘরিয়া এলাকায এক গৃহবধূকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগে পাঁচ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার দিনব্যাপী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে রোববার রাতে সদর উপজেলার ছয়ঘরিয়ার জনৈক সিরাজুল ইসলামের ইটভাটায় ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের শিকার হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হল, সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের জামের আলির ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫), একই গ্রামের করিম বক্সের ছেলে ইদ্রিস আলি (২০), বাঁশঘাটা গ্রামের কোরবান আলির ছেলে আলামিন (২২), বেতলা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে কবিরুল ইসলাম (২৭) ও দেবনগর গ্রামের রঞ্জনের ছেলে সঞ্জয় (২৫)।
এ ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উত্তর দেবনগরের মৃত আলিমুজ্জামানের স্ত্রী ফেরি করে মনোহরির মালামাল বিক্রি করেন। মালামাল বিক্রয়ের সূত্র ধরে দেবনগর গ্রামের তরিকুল ইসলামের কাছে তার এক হাজার টাকা পাওনা ছিল। কিন্তু তরিকুল সেই পাওনা টাকা দিতে বিভিন্ন সময টালবাহনা করতো। একপর্যায়ে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তরিকুল ওই গৃহবধূকে টাকা দেওয়ার কথা বলে মোবাইল পোনে কদমতলা ব্রিজের কাছে ডেকে নিয়ে যায। সেখানে গেলে তাকে ভ্যানে করে ছয়ঘরিয়ার সিরাজের ইটভাটার কাছে যেতে বলে। তার কথা মত ওই গৃহবধু সেখানে গেলে তাকে জোরপূর্বক সিরাজের ভাটার ইটকাটার রুমে নিয়ে তরিকুল ইদ্রিস আলি, আলামিন, কবিরুল, সঞ্জয় ও বাশঘাটার আব্দুল গফফারের ছেলে পলাতক আসামী কবির তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই গৃহবধূর আতœচিৎকার শুনে টহলরত পুলিশ তাকে উদ্ধার করে এবং কবিরুল নামে একজনকে ঘটনাস্থলকে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি আরো ৪ জনকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে সোমবার সদর থানায় ১০জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে একজনসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ইদ্রিস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি আরো জানান, এ মামলায় পলাতকত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
Check Also
সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে সভা অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি সাতক্ষীরা শহর শখার ২ নং ওয়ার্ড (রাজারবাগান ও সরকারপাড়া ইউনিট) এর উদ্যোগে …