রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তিনি বলেন, ‘এটি একটি দুর্যোগ। সর্বত্রই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মানবিক ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে।’
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে আসা ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে উভয়ে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘বৈঠকে মাহমুদ আব্বাস ফিলিস্তিন সংকটের বর্তমান অবস্থা প্রধানমন্ত্রীকে জানান। এ সময় শেখ হাসিনাও ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে থাকার ব্যাপারে তাঁর অঙ্গীকারের কথা জানান।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, ‘একজন মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু মানবিক গুণাবলি আছে। অস্থায়ী ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে বাংলাদেশে সাত লাখ মিয়ানমারের শরণার্থী বসবাস করছে। যদিও মিয়ানমারকে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিতে হবে। এ জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ সময় রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনে বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ তৎপরতার কথাও মাহমুদ আব্বাসকে জানান প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, একজন শরণার্থীর দুঃখ-কষ্ট তিনি বোঝেন। কারণ, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা শরণার্থী হিসেবে ছয় বছর বিদেশে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন।
আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য তাঁর সরকার শরণার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ওই বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক উপস্থিত ছিলেন।