রোহিঙ্গাদের পক্ষে যখন সারা বিশ্ব সরব, তখন নির্যাতিত এই জনোষ্ঠির প্রতি সহানুভূতিপূর্ণ অনেক পোস্ট ডিলিট করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে।
অবশ্য ফেসবুক বলছে, রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের সংগঠন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’ (আরসা) এর পক্ষে যেসব কন্টেন্ট পোস্ট করা হচ্ছে সেগুলোই শুধু ডিলিট করা হচ্ছে।
তবে রোহিঙ্গাদের পক্ষে কাজ করা অ্যাক্টিভিস্টরা বলছেন, ‘আরসা’কে সমর্থন করা হয়নি এমন কন্টেন্টও গায়েব হয়ে যাচ্ছে তাদের আইডি থেকে।
ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন এসব তথ্য জানানো হয়।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষের এক অভ্যন্তরীণ মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে এ ধরনের পোস্ট ডিলিট করা হচ্ছে বলে গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন সামাজিক মাধ্যমটির একজন মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ফেসবুকের ‘কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড’ অনুযায়ী আরসা সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় পড়ে। ফলে এ সংগঠনকে সমর্থন করে পোস্ট করা কন্টেন্ট সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
মিয়ানমার সরকারের অনুরোধে এমনটি করা হয়নি বলেও জানান ফেসবুকের ওই মুখপাত্র।
তবে অং সান সুচির মুখপাত্র জো থে ফেসবুকের এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ফেসবুকেই পোস্ট দিয়েছেন। তিনি তার ‘ফলোয়ার’দের আহ্বান জানিয়েছেন বলেছে আরসাকে সমর্থন করা কোনো কন্টেন্ট চোখে পড়লে যেন সেটির বিরুদ্ধে তারা ‘রিপোর্ট’ করেন।
রাখাইন সংঘাতকে কেন্দ্র করে মিয়ানমার সরকারের বিভিন্ন পেইজ থেকে যেসব উস্কানিমূলক কন্টেন্ট পোস্ট করা হচ্ছে সেগুলোও ডিলিট করা হচ্ছে কিনা- গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে ফেসবুকের মুখপাত্র মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অং সান সুচির ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ২৬ লাখ ফলোয়ার রয়েছেন। এছাড়াও সরকারি অন্যান্য পেইজ থেকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক প্রচারণা হচ্ছে বলে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে ফেসবুক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করে গণহত্যা চালানো মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাশে দাঁড়িয়েছে।