মিয়ানমারে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের চাল কিনতে যাওয়া মানে আমাদের দুর্বলতা প্রকাশ করা। মিয়ানমারে চাল কিনতে গিয়ে তিনি দেশকে ছোট করছেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এসব মন্তব্য করেন।
বুধবার মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দশম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাতীয় সংকটকে জাতীয়ভাবে মোকাবেলার আহবান জানিয়ে নজরুল বলেন, আসুন মানবতার স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হই। সবার সহযোগিতা নিন। সমস্যার সমাধান করুন। বিএনপি পাশে আছে। সবাই একত্রে কাজ করলে সারা বিশ্ব জানবে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল একত্রে কাজ করছেন। তাহলে মিয়ানমার সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে এবং দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে।
এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। এর মধ্যে থাইল্যান্ড থেকে দুই জাহাজ পচা চাল এসেছে। যা খাবার অনুপযোগী। এছাড়াও মিয়ানমারে মুসলিম হত্যা, নারী- শিশু নির্যাতন চলছে। যা দেখে বিশ্ববাসী হতবাক হয়ে গেছে। সেখানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম চাল কিনতে গেলেন স্ত্রীকে নিয়ে। দেশের মানুষ চাল কিনতে পারছে না। আর তিনি (কামরুল ইসলাম) গেলেন আনন্দ ভ্রমণে। মিয়ানমারে সরকারের চাল কিনতে যাওয়া মানে দেশকে ছোট করা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা কোনো রাজনীতি করি না আর করবও না। সবার উচিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো। কিন্তু সরকার বিএনপিকে তাদের পাশে দাঁড়াতে বাধা দেয়া হচ্ছে। তা সত্ত্বেও ত্রাণ বিতরণ ঠেকানো যায়নি। আমরা ৩০ হাজার লোককে ত্রাণ দিয়েছি। এখন বিএনপির নেতাকর্মীরা ত্রাণ দিচ্ছে।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাংগঠনিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা দলের নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের খোঁজখবর না রাখলেও শেখ হাসিনা রেখেছেন। তারেক রহমানের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ আওয়ামী লীগের নেতারা তার বিরুদ্ধে কুৎসা রটাচ্ছে। মিথ্যা অভিযোগে তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছে। এটা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।
স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, শওকত মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সমম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ানুল হোসেন রিয়াজ, দক্ষিণের সভাপতি এস. এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।