জাতিসংঘেও মিয়ানমারের মিথ্যাচার

ডেস্ক: মিয়ানমার জাতিসংঘকে বোঝাতে চেয়েছে যে, রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তীব্র আন্তর্জাতিক সমালোচনার পর এখন মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাখাইনে সংকট কমছে।

গতকাল বুধবার দেশটির দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থিও জাতিসংঘে দেয়া ভাষণে এ কথা জোর দিয়ে বলেন।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সুচির পরিবর্তে জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য দেন থিও। এর আগের দিনই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন অং সান সুচি।

এএফপির খবরে বলা হয়, সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের মিয়ানমার থেকে পালানোর ব্যাপারে জানতে চাইলে থিও অনেকটা সুচির মতোই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে, পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।’

৫ সেপ্টেম্বর থেকে রাখাইনে আর কোনো সহিংসতা হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।

থিও আরও বলেন, ‘মুসলিমদের এখনো আগের মতোই বাংলাদেশে যাওয়ার খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। কেন মুসলিমরা পালাচ্ছে, তা আমাদের খুঁজে বের করা প্রয়োজন।’

জাতিসংঘে ভাষণ দেয়ার সময় ভন থিও রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি। তিনি তাদের মুসলিম বলে অভিহিত করেন। মিয়ানমারে সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ সম্প্রদায় একধরনের গালাগাল হিসেবে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করে।

জাতিসংঘ বলছে, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি পোড়ানো ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। গত ২৫ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ গতকাল এই অভিযানকে গণহত্যা হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ভন থিও দাবি করেন, সন্ত্রাসী হামলার পরই রাখাইনে সেনা অভিযান শুরু হয়েছে। অমুসলিমদের ওপরও ওর প্রভাব পড়েছে।

আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার সরাসরি উল্লেখ না করে ভন থিও সমর্থনের জন্য বাইরের দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

থিও বলেন, ‘প্রথমেই আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি মানবিক ত্রাণের বিষয়টি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যারা অভাবে রয়েছে, তারাই ত্রাণ পাচ্ছে। এ ব্যাপারে কোনো বৈষম্য চাই না।’

Check Also

আশাশুনিতে রিংবাঁধ নির্মাণ কাজে সেনাবাহিনীর পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট গ্রামের ভাঙন পয়েন্টে বিকল্প রিংবাঁধ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

***২০১৩-২০২৩*** © ক্রাইমবার্তা ডট কম সকল অধিকার সংরক্ষিত।