নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আগামী শারদীয় দূর্গা পুজা উপলক্ষে ৯৩ টি পুজা মন্ডপে উিউটি দেয়ার নামে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে আনসার-ভিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কর্মকর্তা রওশন আরা বেগমের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই টাকার একটি অংশ নাটোর জেলা কমান্ডারকে ও দিতে হয় বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনসার-ভিডিপি সদস্যরা তদন্ত সাপেক্ষে দূর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন। এবারে সিংড়া উপজেলায় ৯৩টি পুজা মন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে আইন-শৃংখলা রক্ষায় চার থেকে আট জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এজন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া মোট চারশ’ ৯৮ জন আনসার-ভিডিপি’র নামের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন লিডার এবং পৌরসভার লিডারদের তালিকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অফিসের নির্দেশনায় প্রত্যকটি ইউনিয়নে ২০ থেকে ২৮ জন পর্যন্ত বন্টন করে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী যারা তালিকা জমা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার নিজস্ব ক্ষমতায় তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি দুইশ’ টাকা করে আদায করা হয়েছে। সে হিসাবে চারশ’ জনের কাছ থেকে দুইশ’ টাকা হারে এবং ৯৩ জনের কাছ থেকে ৫শ’ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। গোপন একটি সূত্র জানায়, এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনের সময়ও ভোটকেন্দ্রে আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগে জনপ্রতি পাঁচশ’ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। গত ২০ বছর ধরে সিংড়ায় কর্মরত থাকায় স্থানীয় প্রভাবে তিনি সাধারন আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কোন অভিযোগ না শুনে তাদেরকেই আরো অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করে পাল্টা হুমকি দেন। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও আনছার-ভিডিপি’র যে কোন প্রশিক্ষণে লোক পাঠানোর সময় তদবিরের জন্য তিনি প্রত্যকের কাছ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার করে টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে আনসার-ভিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কর্মকর্তা রওশানা আরা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা কমান্ডারকে কিছু দিতে এবং অফিস খরচের জন্য রাখতে হয়। তবে পরে তিনি সেই বক্তব্য থেকে সরে এসে বলেন, টাকা নেয়ার ঘটনাটি মিথ্যা এবং এমন অভিযোগ ওঠার পরে তা মিটমাটও করে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সিংড়ার নির্বাহী অফিসার আসিফ মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম
নাটোর সংবদদাতা
মোবাঃ ০১৭১৩-৭৭৫৯৮০
তাং-২১.০৯.১৭
নাটোরে পূজা মন্ডপে ডিউটি
আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ
নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের সিংড়া উপজেলায় আগামী শারদীয় দূর্গা পুজা উপলক্ষে ৯৩ টি পুজা মন্ডপে উিউটি দেয়ার নামে আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কাছ থেকে আনসার-ভিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কর্মকর্তা রওশন আরা বেগমের বিরুদ্ধে বিপুল অংকের টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই টাকার একটি অংশ নাটোর জেলা কমান্ডারকে ও দিতে হয় বলে একটি সুত্র জানিয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আনসার-ভিডিপি সদস্যরা তদন্ত সাপেক্ষে দূর্নীতি পরায়ন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন। এবারে সিংড়া উপজেলায় ৯৩টি পুজা মন্ডপে দুর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পূজা মন্ডপে আইন-শৃংখলা রক্ষায় চার থেকে আট জন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এজন্য উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া মোট চারশ’ ৯৮ জন আনসার-ভিডিপি’র নামের তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিংড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন লিডার এবং পৌরসভার লিডারদের তালিকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। অফিসের নির্দেশনায় প্রত্যকটি ইউনিয়নে ২০ থেকে ২৮ জন পর্যন্ত বন্টন করে দেয়া হয়। সে অনুযায়ী যারা তালিকা জমা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তার নিজস্ব ক্ষমতায় তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি দুইশ’ টাকা করে আদায করা হয়েছে। সে হিসাবে চারশ’ জনের কাছ থেকে দুইশ’ টাকা হারে এবং ৯৩ জনের কাছ থেকে ৫শ’ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। গোপন একটি সূত্র জানায়, এর আগে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং উপজেলা নির্বাচনের সময়ও ভোটকেন্দ্রে আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগে জনপ্রতি পাঁচশ’ টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। গত ২০ বছর ধরে সিংড়ায় কর্মরত থাকায় স্থানীয় প্রভাবে তিনি সাধারন আনসার-ভিডিপি সদস্যদের কোন অভিযোগ না শুনে তাদেরকেই আরো অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করে পাল্টা হুমকি দেন। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগও রয়েছে। এছাড়াও আনছার-ভিডিপি’র যে কোন প্রশিক্ষণে লোক পাঠানোর সময় তদবিরের জন্য তিনি প্রত্যকের কাছ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার করে টাকা উৎকোচ গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে আনসার-ভিডিপি’র ভারপ্রাপ্ত উপজেলা কর্মকর্তা রওশানা আরা বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জেলা কমান্ডারকে কিছু দিতে এবং অফিস খরচের জন্য রাখতে হয়। তবে পরে তিনি সেই বক্তব্য থেকে সরে এসে বলেন, টাকা নেয়ার ঘটনাটি মিথ্যা এবং এমন অভিযোগ ওঠার পরে তা মিটমাটও করে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সিংড়ার নির্বাহী অফিসার আসিফ মাহমুদ বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোঃ রিয়াজুল ইসলাম
নাটোর সংবদদাতা
মোবাঃ ০১৭১৩-৭৭৫৯৮০
তাং-২১.০৯.১৭