জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণে মিয়ানমারে গণহত্যার বিষয়ে নিন্দা না জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের পর শুক্রবার বিকালে এক আলোচনা সভায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ১০ম কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (জেটেব) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জেটেবের সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে ভোরে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে বক্তব্য রেখেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি কী বলেছেন? একবারও মিয়ানমার যে গণহত্যা চালাচ্ছে সে কথাটা তিনি বলেননি এবং মিয়ানমারের নিন্দা করেননি। এটি না করার মানে হচ্ছে আপনি মূল জায়গাটাতে যাচ্ছেন না। এখন মূল জায়গাটিতে যাওয়া সবচেয়ে বেশি দরকার।’
তিনি বলেন, আমরা বলতে চাই, আজকে একসঙ্গে পুরো জাতিকে সঙ্গে নিয়ে যদি আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলেন, মিয়ানমারকে গণহত্যার জন্য দায়ী করেন এবং দেশটির বিরুদ্ধে অর্থনীতি অবরোধ করার কথা বলেন তাহলেই শুধুমাত্র তারা (মিয়ানমার) বাধ্য হবে এই গণহত্যা বন্ধ করতে।
রোহিঙ্গা শরনার্থীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে জাতীয় ঐক্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতীয় ঐক্যের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে। এটার কোনো বিকল্প নাই।
তিনি বলেন, এখানে বলা হচ্ছে সেফ জোনের কথা। সেফ জোন বলতে কী বুঝাচ্ছেন আমরা এখনও বুঝতে পারিনি। বলা হচ্ছে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধায়নে সেভ জোন। অর্থাৎ এটা কী আরেকটি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র সৃষ্টি করতে চান?
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মোকাবেলায় বিলম্বে সেনাবাহিনীকে সস্পৃক্ত করায় সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে বলে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সমর্থন হারিয়েছে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেজন্য তারা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে রেখেছে।
তিনি বলেন, যে প্রধানমন্ত্রী নিজের দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন না, সেখানে জাতিসংঘের সেই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে শান্তির কথাকে আমরা মিথ্যা অপরাধ বলতে চাই।