মীর খায়ারুল আলম, সাতক্ষীরা:ভারত-বাংলা দুদেশের সীমানা জুড়ে বয়ে চলেছে ইছামতি নদী। প্রতিবছর হিন্দু ধর্মীয় বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে বিজয়া দশমির বিসর্জন মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু নানান জটিলতায় এবারও বন্ধ হল দুদেশের মিলন মেলা। দুই বাংলার মিলন মেলার ভেলা না ভাসলোও নিজ নিজ সীমারেখায় ভাসবে আনন্দের ভেলা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিমা বিসর্জনাস্থল দেবহাটার ইছামতি নদী। দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সর্ব বৃহৎ উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এই বিসর্জন কে ঘিরে অনুষ্ঠিত হয় মিলন মেলা। প্রতি বছরের এই দিনে ইছামতি নদীর তীরে আন্তর্জাতিক সীমারেখাসহ দ্বিধা-দ্বন্দ ভুলে মিলন মেলায় মিলিত হয় পাশাপাশি অবস্থিত প্রতিবেশী দু’দেশের হাজার হাজার মানুষ। আইন-শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে এবং যাতে করে উভয় দেশের মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করে পারাপারসহ জঙ্গী সদস্যরা, সন্ত্রাসী, পলাতক আসামী, দুষ্কৃতিকারীরা যাতে করে অবৈধভাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে না যেতে পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। তারই পরিপেক্ষিতে দু’দেশের জাতীয় ও সীমারক্ষী বাহিনীর কঠিন সিদ্ধান্তে এবারও বন্ধ হল ঐতিহ্যবাহী এই মিলন মেলা।
তাই উভয় দেশের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে এবং অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনা এড়াতে শুক্রবার বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বিজিবি, ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও উভয়দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে পতাকা বৈঠাক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ১৭ বিজিবির ইন্ট অফিসার মেজর আব্দুল্লা আল মামুন, কালিগঞ্জ সার্কেলেরর এএসপি মির্জা সালাউদ্দিন আহম্মেদ, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজ আল আসাদ, দেবহাটা থানার ওসি কাজী কামাল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম খোকন, দেবহাটা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর গাজী, টাউন শ্রীপুর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আক্তার হোসেন এবং ভারতের পক্ষে এসএ(এএল) মিনা, এএফসি অভিজিৎ ব্যানার্জি, আইএনএসপি মনোজ কুমার সিংহ, ওসি দেব দুলাল মন্ডল, অরুবিন্দু কুমার মুখার্জি, এসআই মেরিন আল পাল, টাকি পৌর সভার চেয়ারম্যান সোম নাথ প্রমূখ। ইছামতি নদী বাংলাদেশ ও ভারতের শারদীয় দূর্গাপূজার বিসর্জনস্থল হওয়ায় উভয়দেশের শান্তি বজায় রাখতে বিভিন্ন বিষয়েও আলোচনা হয়।