মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হত্যাযজ্ঞ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে তাদের ওপর মরিচের গুঁড়া ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ছে ভারত।
রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকাতে সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দেয়ার পর এবার রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ভারতের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর এক কর্মকর্তা বলেন, ভারতের মাটিতে রোহিঙ্গাদের সহ্য করা হবে না। তবে আমরা তাদের গুরুতর আহত বা গ্রেফতার করতে চাই না।
ভারত সীমান্তে যে স্টান গ্রেনেড ছুড়ছে সেটি মূলত মানুষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি ছুড়লে প্রচণ্ড শব্দ ও আলোর ঝলকানি সৃষ্টি হয়। এতে মানুষ আতংকিত হয়, অনেক সময় অচেতন হয়ে যায়।
আর মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ব্যবহারে শরীরে জ্বালাপোড়া হয়।
এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বিএসএফ-এর ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ভারতে প্রবেশে চেষ্টাকারী কয়েকশ রোহিঙ্গাকে তাড়িয়ে দিতে আমরা মরিচের গুঁড়াযুক্ত গ্রেনেড ব্যবহার করছি।
বিএসএফ-এর উপমহাপরিদর্শক আর. পি. এস জসওয়াল বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের বড় অংশের টহল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সীমান্তরক্ষীরা মরিচের গুঁড়ার গ্রেনেড ও স্টান গ্রেনেড ব্যবহার করছে।
এর আগে রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দেয় ভারত। সমুদ্রপথ ব্যবহার করে রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে- এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নেয় দিল্লি।
জাতীয় নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের একটি প্রধান হুমকি মনে করে ভারত। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা শরণার্থী নয়, তারা অবৈধ অভিবাসী।