আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আকাশসীমা লঙ্ঘনসহ কোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে সাড়া দেবে না বাংলাদেশ। আমাদের খুব সতর্কতার সহিত পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
শনিবার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামে তার নিজ বাসভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বার্মা হেলিকপ্টার দিয়ে বারবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তাদের উসকানিতে কোনো প্রকার সায় না দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন। একই নির্দেশনা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সেনাবাহিনী, বিজিবিকেও দেয়া হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ৫ দফা প্রস্তাবনা পেশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে সারা বিশ্ব গ্রহণ করেছে। প্রশাংসা করেছে বিশ্বের নেতৃবৃন্দ। প্রথমে জোরালোভাবে না নিলেও এখন যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ মুসলিমবিশ্ব রোহিঙ্গাদের নিয়ে জোরালো ভূমিকা পালন করছে। প্রশংসা করছে বিশ্ব ও বাংলাদেশের মিডিয়া।
মিডিয়া বলেছে, এটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যারা আওয়ামী লীগের কঠোর সমালোচক তারাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুষ্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তাদের লেখনীতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনার কোনো বিষয় পায়নি বিএনপি।
বিএনপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের ভাষণে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার বিষয়টি সমালোচনা করেনি। আসলে বিএনপির হাতে এখন আর কোনো ইস্যু নেই। তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনেও শুনেননি-বুঝেও বুঝেননি। বিএনপি তাদের কানের মধ্যে তুলো দিয়ে রেখেছে। তারা এখন তাদের চোখের ঠুলি বেঁধেছে।
বিএনপিকে একটি হলেও সমালোচনা তো করতেই হবে। সমালোচনার জন্য সমালোচনা, বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করে বিএনপি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান, আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুরুল করিম জুয়েল, স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম রাহাত, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না প্রমুখ।