আকবর হোসেন,তালা: তালা উপজেলার ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে আ:বারিকের সভাপতিত্বে এলাকার পশু চিকিৎসক আ: রহমানের পরিচালনায় খলিলনগর ইউনিয়নে জামাতের এক শীর্ষনেতা আবুল মোড়লের পুত্র সোহরার মোড়লের মদদে কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তায় প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে । উক্ত ঘটনার জন্য যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ।
ঘটনার বিবরনে এবং সরজমিনে গিয়ে মৃত বাদল মোড়লের পুত্র আ:বারী মোড়ল,মৃত আকিম উদ্দিন এর পুত্র সামাদ মোড়লসহ একাধিক ব্যক্তি কাছে জানা যায়, খলিলনগর ইউনিয়নের আমজাদ মোড়লের ৪ শরিকের কবরস্থানটি ১ বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। যার ভেতর কবরস্থান এবং বসবাসের একমাত্র রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল আমজাদ মোড়ল ও তার শরিকদ্বয়। কিছুদিন পুর্বে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ভয়ভীতি এবং হুমকি অব্যাহত রেখে জামাতের এক শীর্ষনেতা আবুল মোড়লের পুত্র সোহরার মোড়লের মদদে হাবিবুর রহমান ও তার সহযোগী বাহিনী (প্রায় ৩শত ব্যক্তির)পারিবারিক কবরস্থানে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটিতে প্রাচীর নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে । এ বিষয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী পরিবারটি। নিরুপায় হয়ে এদের অত্যাচারের হাত হতে রক্ষা পাওয়া এবং কবর স্থানে যাওয়ার জায়গাটি উন্মুক্ত করার জন্য ২৩ সেপ্টেম্বর দক্ষিন নলতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রঙ্গনে আ:বারিকের সভাপতিত্বে এলাকার পশু চিকিৎসক আ: রহমানের পরিচালনায় মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ এর আয়োজন করেন ভুক্তভুগি ব্যক্তিসহ এলাকাবাসি । উক্ত মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন,গোনালী বাজার বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন জোয়াদ্দার,সহ-সভাপতি রুহুল আমিন,হাশেম আলী মোড়ল,ইফাজ শেখ,কাছেদ আলী মোড়ল এবং গ্রামবাসিসহ প্রায় শতাধীক ব্যক্তি উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত হয় । বক্ততা অতি দ্রুত কবরস্থানের রাস্তা খুলে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন । তাহা না হলে বুহত্তর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে হুসিয়ারী উচ্চারন করেন । এ ঘটনায় যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে এলাকাবাসি ধারনা ।
ভুক্তভোগী আমজাদ মোড়লের পুত্র গ্রাম্য পশু ডাঃ আব্দুর রহমান মোড়ল জানান, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান মহোদয়কে নিয়ে আপোষ মিমাংসায় বসলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রতিপক্ষ হাবিবুর ও তার সহযোগীরা মানতে নারাজ। তালা থানায় সাধারণ ডায়েরী করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় বর্তমানে অসহায়ত্ব জীবন যাপন করছে আমজাদ ও তার শরীকরা। এ বিষয়ে প্রতিবেশী দাউদ আলী গাজী (৫৬) জানান, প্রাচীর নির্মাণ করায় আমজাদ ও তার পরিবার পারিবারিক কবরস্থানে যেতে না পেরে কোণঠাসা হয়ে জীবনযাপন করছে। অথচ প্রতিপক্ষরা আবার তাদেরই জমি ব্যবহার করছে। প্রাচীর নির্মাণটি অপসারণ পূর্বক প্রশাসনের প্রতি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার সহ এলাকাবাসী।
উক্ত মানববন্ধনে ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোজাম আলী শেখ বলেন, আমরা বহুবার কবর স্থানের বিষয়টি নিয়ে মিমাংসা করার জন্য শলিশি বসেছি কিন্ত প্রতিপক্ষ মৃত শামসুর মোড়লের পুত্র কামরুল ইসলাম, আবুল মোড়লের পুত্র সোহরার মোড়ল গং দ্বয় কোন কর্ণপাত করছেন না ।
এ বিষয়ে সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান তিতু মেম্বর বলেন,আমরা বহুবার চেষ্টা করেছি সমস্যার সমাধানের কিন্ত কোন কিছুতেই কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তা তারা ছাড়বে না ।
এ ব্যাপারে খলিলনগর ইউপি চেয়ারম্যন মো: আজিজুল রহমান রাজু বলেন,আমি এই বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার জন্য ৭সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করি । কমিটি যে সিদ্ধান্ত দিবে ২দলই সেটা মেনে নেবে বলে একমত পোষন করে,কিন্ত প্রতিপক্ষ আবুল মোড়লের পুত্র সোহরার মোড়ল, হাবিবুর রহমান ও তার সহযোগী লোকজন অনেকবার মিমাংসা করার চেষ্টার পরও সেটা মেনে নেয়নি । তারা কোন ক্রমেই কবর স্থানের যাওয়ার রাস্তা ছাড়বে না । তারা কাহারও কোন কথায় কর্ণপাত করছে না । এর একটি সুরাহা হওয়া দরকার । তাহা না হলে যেকোন সময় একটা বিশৃংখলা ঘটতে পারে বলে আমার ধারনা । উল্লেখ্য যে, আবুল মোড়লের পুত্র সোহরার মোড়ল জামাতের শীর্ষনেতা বলে পরিচিত তিনি ৩টি নাশকতা মামলার আসামী বলে তিনি জানান ।