দিনাজপুরে শনিবার বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় দুই নারীসহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছের আরও ৭ জন।
এদের মধ্যে বিরল উপজেলার রাজারামপুর গ্রামে মাঠে কাজ করার সময় একসঙ্গে মারা যান ৪ জন। আহত হয়েছেন আরও ৭ জন। এছাড়া চিরিরবন্দর ও খানসামা উপজেলায় বজ্রপাতে আরও দু’জনের মৃত্য হয়েছে।
নিহতরা হলেন- দিনাজপুরের বিরল উপজেলার পূর্ব রাজারামপুর গ্রামের মৃত হরিপদ রায়ের ছেলে কুশোচন্দ্র রায় (১৭), একই গ্রামের প্রদীপচন্দ্র রায়ের স্ত্রী বণিতা রানী রায় (১৭), পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর সদর উপজেলার মহাদেবপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মেসের আলী (৩৬) ও একই গ্রামের মৃত মোস্তাক আলীর ছেলে শুকুর উদ্দীন (৪০) এবং খানসামা উপজেলার দীননন্ধু রায় (৪০) ও চিরিরবন্দরের চকরামপুর গ্রামের শহীদুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা খাতুন (২৩)।
বিরল থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, শনিবার দুপুরে ১২ জন কৃষি শ্রমিক বিরল উপজেলার পূর্বরাজারামপুর গ্রামের ধানক্ষেতে কাজ করছিলেন।
এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে তারা সবাই দৌড়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী ছাইতনতলা নামক স্থানে একটি মেশিন ঘরে আশ্রয় নেন।
এ সময় সেখানে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটানস্থলেই ঝলসে গিয়ে মেসের আলী ও শুকুর উদ্দীন মারা যান। আহত অবস্থায় ৯ জনকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কুশোচন্দ্র রায় ও বণিতা রানী মারা যান।
অন্য ৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন- মুক্তি রানী রায় (৪৭), ললিতা রানী রায় (৩০), সুকুমার রায় (৪৭), মল্লিকচন্দ্র রায় (১৩), জোসনা রানী রায় (৫৫), গলি রাম রায় (৬৫), তাইজুল হোসেন (৬৫) ও জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৬)।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারেসুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে চিরিরবন্দরের চকরামপুর গ্রামে বজ্রপাতে মারা যান শহীদুল ইসলামের স্ত্রী গৃহবধূ হালিমা খাতুন (২৩)। বৃষ্টির সময় বাড়ির আঙিনায় থাকা রান্নার চুলা ঢেকে দিতে ঘর থেকে বের হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই হালিমার মৃত্যু হয়।
এদিকে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বজ্রপাতে দীননন্ধু রায় (৪০) নামে এক ব্যাক্তির মৃত্য হয়েছে। তিনি খানসামা উপজেলার দুয়ানী কাশিমনগর গ্রামের সত্যেন্দ্রনাথ রায় ছেলে।
শনিবার সকাল ৭ টার দিকে খানসামা উপজেলার জয়গঞ্জ এলাকার দুয়ানী কাশিমনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, তিনি সকালবেলা গরু নিয়ে বাড়ির বাইরে গেলে পথিমথ্যে বজ্রপাতে নিহত হন তিনি।