রোববারের ভোট শেষে একটি বুথফেরত জরিপের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, মেরকেলের নেতৃত্বাধীন সিডিইউ/সিএসইউ জোট ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পাচ্ছে, যাতে তারাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পার্লামেন্টারি গ্রুপ।
এআরডি জরিপ বলছে, মেরকেলের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এবং বিদায়ী জোট সরকারের শরিক দল মধ্য-বাম সোশ্যাল ডেমোক্রেটস (এসপিডি) মাত্র ২০ শতাংশ ভোট পাচ্ছে।
নির্বাচনী ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে এসপিডি৷ বিরোধী দলের ভূমিকা পালনের ঘোষণা দিয়েছে তারা।
এদিকে কট্টর ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি-এএফডি ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় শক্তিশালী দল হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। ইসলাম ও অভিবাসনবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আসা এই দল এবারই পার্লামেন্টে প্রথম আসন পেতে চলেছে।
বুথফেরত জরিপে আরো দেখা গেছে, মের্কেল শিবিরের সবচেয়ে সম্ভাব্য সহযোগী উদারপন্থি এফডিপি পাচ্ছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট, গ্রিন পার্টি পাচ্ছে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট এবং বাম দল পাচ্ছে ৯ শতাংশ ভোট।
প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে এবারও মেরকেলকে জোট গড়তে হতে পারে এবং নতুন শরিক দলও খুঁজতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এফডিপি যথেষ্ট আসন না পাওয়ায় গ্রিন পার্টিকে জোটে টানার চেষ্টা করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেরকেলের নেতৃত্বে তিন দলের জোট সরকার গঠিত হতে পারে৷ আর এ প্রক্রিয়ায় কয়েক মাস লাগতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০০৫ সাল থেকে জার্মানি শাসন করা মেরকেলকে আন্তর্জাতিকভাবেও স্থায়িত্বের প্রতীক মনে করা হয়।
ইউরোপজুড়ে অভিবাসী সংকটের সময় জার্মানির দরজা খুলে দেওয়ায় মেরকেল অভ্যন্তরীণভাবে সমালোচনার মুখে পড়লেও পরে সেটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছেন বলেই নির্বাচনী ফল বলছে।