ঢাকা: রাজধানীর গুলশান নিকেতনের একটি বাসা থেকে জিনিয়া আফরিন মিতু (২২) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর ও চকবাজার হরিনাথ ঘোষ এলাকা থেকে সীমা আক্তার (২৯) নামের এক নার্সের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় গুলশান ১ নিকেতনের ব্লক-এ, রোড ২, ৭৪ নম্বর বাসা থেকে মিতুর লাশ উদ্ধার করে গুলশান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) রমজান আলী। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়।
শরিয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার দাশেরজঙ্গল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ১ ছেলে ২ মেয়ের মধ্যে ছোট মিতু। পরিবারের সাথে নিকেতনের ওই বাসায় মিতু ভাড়া থাকতো। প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হোটেল ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী ছিলো সে।
মৃত মিতুর মা শাহনাজ বেগম জানান, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে করে সে। এর কিছু দিন পর মিতু তার স্বামীকে তালাক দিয়ে দেয়। তবে কিছুদিন পর থেকে আবার তাদের মেলামেশা শুরু হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর মিতু বাসা থেকে বেরিয়ে তার সাবেক স্বামীর কাছে যায়। এরপর গতকাল বিকেলে বাসায় ফিরে। তারপর থেকে আজ সকাল ভোর পর্যন্ত রুমের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে থাকে। ভোর বেলায় তাকে ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া শব্দ পাওয়া যায়নি। পরে রুমের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায়।
পরে পুলিশে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মিতুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেন বলে জানান মা শাহনাজ বেগম।
এদিকে চকবাজার হরনাথ ঘোষ রোডের ৭০/১-এ নম্বর বাসার ৭ তলা থেকে নার্স সীমা আক্তারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
চকবাজার থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) খাইরুর ইসলাম আজ বেলা দেড়টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠায়।
টাঙ্গাইল ধনবাড়ি উপজেলার মৃত আব্দুর সামাদের মেয়ে সীমা।
মৃত সীমা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলো বলে জানা যায়।