ঘোষণা ছিল আগেই। তবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা ও পাকিস্তান-শ্রীলংকা সিরিজের মধ্য দিয়েই লাল কার্ড প্রদর্শনসহ নানা নতুন নিয়ম কার্যকর করতে যাচ্ছে ক্রিকেটের আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
এই দুই ম্যাচ দিয়ে আইসিসি খেলোয়াড়দের মাঠ থেকে বের করে দিতে লাল কার্ড প্রদর্শনসহ ব্যাটের পুরুত্ব, রানআউট আইন, ডিআরএসের নতুন আইন চালু করবে।
১. নতুন নিয়মে ব্যাটের আকার:
ব্যাট ও বলের ভারসাম্য রাখতেই ব্যাটের কোণা ও পুরুত্ব বেঁধে দিয়েছে আইসিসি। যদিও দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ নিয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই।তবে ব্যাটের কোণার পুরুত্ব ৪০ মিলিমিটারের বেশি হতে পারবে না। আর গভীরতা থাকবে সর্বোচ্চ ৬৭ মিলিমিটার।
২. আচরণ নিয়ন্ত্রণে লাল কার্ড দেখানোর ব্যবস্থা:
বিধিবহির্ভূত আচরণে এখন মাঠ থেকে বের করে দেয়ার নিয়ম চালু করেছে আইসিসি। তবে সেক্ষেত্রে আইসিসি বিধি অনুযায়ী-৪ মাত্রা ভঙ্গ করলেই কেবল এটি প্রযোজ্য হবে।
৩. ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে পরিবর্তন:
সাধারণত ৮০ ওভার শেষে নতুন করে দুটি রিভিউ যোগ হতো। এখন আর সেটি থাকছে না। প্রতিটি ইনিংসে মাত্র দুটি রিভিউ বরাদ্দ থাকবে সবার ক্ষেত্রে। এখন থেকে টি২০ ক্রিকেটেও ডিআরএস ব্যবহার করবে আইসিসি।
৪. রানআউটের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম:
এখনকার নিয়মে রান নেয়ার সময় কোনো ব্যাটসম্যান ক্রিজের মধ্যে ঢোকার পরও যদি তার ব্যাট ও দুই পা শূন্যে থাকে- তা হলে তাকে রানআউট দেয়া হয়। কিন্তু নতুন নিয়মে একবার ব্যাটসম্যান ক্রিজের মধ্যে ঢুকে গেলেই হবে। এরপর ব্যাট বা পা শূন্যে থাকলেও তাকে আর রানআউট দেয়া যাবে না। স্ট্যাম্পডের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানা হবে।
৫. বাউন্ডারি ক্যাচের ক্ষেত্রে থাকছে পরিবর্তন:
আগে বাউন্ডারির বাইরে শূন্যে ক্যাচ ধরলেও সেটিকে আউট ধরা হতো। এখন আর সেটি হচ্ছে না। আউট হতে হলে বাউন্ডারির মধ্যেই প্রথমে বল ধরে ছুড়ে ফেলতে হবে। তা না হলে সেটিকে বাউন্ডারি হিসেবেই ধরা হবে।
৬. ফিল্ডার অথবা উইকেটরক্ষকের হেলমেটে বল লাগলে কী হবে?
এখন থেকে ফিল্ডার অথবা উইকেটরক্ষকের হেলমেটে লেগে দিক পরিবর্তন করা বলেও আউট ধরা হবে। রানআউট, স্টাম্পড, ক্যাচ -সবই এখন ধরা হবে এর আওতায়।