নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি খুলনার উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো: আবদুল্লাহ বলেন ‘সাতক্ষীরার জন্য অনেক কিছু করার রয়েছে। এই সাতক্ষীরা আমার জন্মস্থান। এখানেই আমার বেড়ে ওঠা। তাই প্রাণের সাথে মিলে রয়েছে এই মাটি’। তিনি বলেন আমি একজন শিক্ষকের সন্তান শিক্ষক।
ড. আব্দুল্লাহ শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি খুলনা, নর্দান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নর্দান নার্সিং ইনিস্টিটিউট, নর্দান ইন্টারন্যাশনাল কলেজসহ, স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন সহযোগীতা অব্যহত রাখছেন তিনি।
তিনি বলেন, জীবনের এই সময় পর্যন্ত কাটিয়েছি শিক্ষার মধ্যে। কখনও শিখিয়েছি, নিজে শিখেছি আর এখনও বারবার শিখছি। এর মাঝেই জীবনের বাকি সময় কাটাতে চাই। তবে নিজে সৎ পথে থেকে জনগনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কিছু করা যায় কিনা সেটাই এখন ভাবছি। এ কারণেই শারদীয় শুভেচ্ছা জানাতে নিজ বাসভূমে এসে সংবাদকর্মীদের সাথে কিছু সময়ের জন্য মিলিত হবার সুযোগ গ্রহন করেছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ। তিনি আরও বলেন ‘ উই প্রডিউস অ্যান্ড এক্সপোর্ট ক্রিকেটার্স। সাহিত্য সংস্কৃতি, ক্রীড়া, নাট্য কলা, কবিতা সব কিছুর সাথে সাতক্ষীরার গভীর নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সাতক্ষীরার অবদান অনন্য’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন অনিন্দ্যসুন্দর সুন্দরবন আমাদের সম্পদের ভান্ডার। এই ভান্ডারের যথোপযুক্ত ব্যবহার আমাদের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি এনে দিতে পারে। তিনি বলেন চিংড়ির মতো এতো সম্পদের বড় অংশীদার সাতক্ষীরা। এই চিংড়িই জাতীয় অর্থনীতিতে রাখছে গুরুত্বপূর্ন অবদান।
তিনি আরও বলেন এখন রাজনীতিতে ঠান্ডা মস্তিস্কের ব্যবহার তেমন নেই। তবু রাজনীতির প্রতি যথাযথ মর্যাদা রেখে বলতে চাই নিজে কোনো দলের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হবার চেষ্টা করিনি। ‘আমি ছাত্র লীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম’ উল্লেখ করে তিনি বলেন আমি ও আমার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাইরে নই।
আওয়ামী লীগের সাথে আমার চালচলন চলাফেরা রয়েছে মন্তব্য করে ড. ইউসুফ আবদুল্লাহ বলেন আগামি নির্বাচনে জনগনের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিভিন্ন দল তাদের প্রতিনিধি বেছে নেবে। আগামি নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন‘ ক্ষমতা ও সিদ্ধান্ত জনগনের রয়েছে’। এসময় তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে আশাশুনি-দেবহাটা ও কালিগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-৩ ও সাতক্ষীরা সদর -২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের হয়ে নির্বাচন করবেন বলে কাজ করছেন বলে জানান সাংবাদিকদের। তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন আমি ইউসুফ আব্দুল্লাহ মনোনয়ন যদি নাও পায় সে ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষে থেকে নির্বাচনে কাজ করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আবহাওয়ার আকস্মিক দুর্যোগপূর্নতায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ড. ইউসুফ আবদুল্লাহ আরও বলেন আমাদের নিকট প্রতিবেশি ভারতের সাথে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে শিল্প গড়ে তোলা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে সাতক্ষীরা হতে পারে ‘স্ট্রাটেজি ইনডাসট্রিয়াল ভেন্যু’। এতে এ এলাকায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে। বেকার সমস্যার সমাধান ত্বরান্বিত হবে। এলাকায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন ভারত একটি পরাশক্তি। আমরা তার নিকট প্রতিবেশি হিসাবে যৌথ ব্যবস্থাপনায় শিল্প উদ্যোক্তা হতে পারি। তিনি বলেন ‘সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি আরও বলেন আমি উপরের আদেশ নির্দেশ নিয়েই এসেছি সাতক্ষীরায়। সময়ই আমার অবস্থার কথা বলে দেবে। আর জনগনই দেবে সিদ্ধান্ত’।
প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক আবদুল বারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শুভেচ্ছা মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের তিন সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, অধ্যক্ষ আনিসুর রহিম ও মনিরুল ইসলাম মিনি, সাবেক সাধারন সম্পাদক এম কামরুজ্জামান, দৈনিক দক্ষিনের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, টিভি চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম মনি দৈনিক যশোর এর সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল, বীর মুক্তিয্দ্ধোা আবুল হোসেন,প্রমুখ।
ড. ইউসুফ আবদুল্লাহ আরও বলেন ‘জনগনের জন্য কাজ করার প্রত্যাশা নিয়ে এসেছি। আর এ দায়িত্ব নিতে পারলে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি আমার দায়িত্ব পালনে সংবাদকর্মীদের সহায়তা চাই’।
পরে তিনি ও তার সফরসঙ্গীরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ভবন উন্নয়ন তৎপরতা পর্যবেক্ষন করেন।