কক্সবাজার: কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ইনানী পাটুয়ারটেক এলাকায় রোহিঙ্গা বোঝাই ট্রলার ডুবিতে ১৪ জনের মৃতৃদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকলে সাড়ে ৪ টার দিকে প্রচন্ড বাতাসের কারণে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি পাথরে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা ১০০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ৯ জন শিশু ও ৫ মহিলার লাশ পাওয়া গেছে। এখনো নিখোঁজ ৬৩ জন। নৌকা ডুবির সাথে সাথে স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে প্রচন্ড বাতাসের কারণে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাটি পাটুয়ারটেক পাথরে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। আহতদের চিকিৎসার জন্য উখিয়া থানার পুলিশ তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গা জাফর জানান, গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত্রে মিয়ানমার বুচিদং থেকে রওনা করেছি। দুই দিন ধরে সাগরে ছিলাম। জাফর আরো জানান, দুই দিন ধরে আমরা ১০০ জন রোহিঙ্গা কোন কিছু খেতে পারি নাই।
তিনি আরো জানান, টেকনাফের জাহাজপুরার এলাকার দালাল ও বোটের মালিক হানিফ মিয়ানমার গিয়ে এসব রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) কাই কিসলো জানান, সাগরে তিনটি ট্রলার ডুবে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৪ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৯জন শিশু, ৫ জন মহিলা রয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাইনউদ্দিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে রয়েছেন। উখিয়া সহকারি কমিশনার (ভুমি) শিবলী নোমান জানান, ১৪ জনের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় অনেককে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মিয়ানমার বাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা সাগর পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটছে। রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবিতে এ পর্যন্ত অন্তত দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।