ডেস্ক : মিয়ানমারের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বরোচিত কঠোর দমনপীড়ন ও নির্যাতন বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সেইসঙ্গে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যাপকভিত্তিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ব্যাপারেও পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি জাতিসংঘের প্রতি এমন সময় এ আহ্বান জানিয়েছে (বুধবার) যখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান সংকট নিরসনে আজ জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। সেখানে সংস্থাটির মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসও বক্তব্য দেয়ার কথা রয়েছে।
অ্যামনেস্টির পরিচালক তিরানা হাসান বলেছেন, “মিয়ানমারের সামরিক জান্তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের জোরপূর্বক বের করে দিচ্ছে এবং তাদেরকে হত্যা করছে। এ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ সুষ্পষ্টভাবে জাতিগত নিধনের শামিল।”
তিনি আরো বলেন, “আজ যখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো বৈঠকে মিলিত হবে তখন তাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ইতিহাসের কোন পক্ষকে বেছে নেবেন এবং রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর যেসব দুর্ভোগ ও অসহনীয় কষ্ট নেমে এসেছে তা বন্ধে তারা কি পদক্ষেপ নেবেন।”
তিনি আরো বলেন, মিয়ানমারের কাছে সব ধরনের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ করার লক্ষ্যে দেশটির ওপর এখনই একটি ‘ব্যাপকভিত্তিক অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা’ আরোপ করতে হবে। এছাড়া, মিয়ানমারে কাছে পরোক্ষভাবে যাতে কোনো অস্ত্রের সরবরাহ না ঘটে এবং দেশটির সেনাবাহিনী যেন কোনো ধরনের সামরিক প্রশিক্ষণ না পায় সেদিকেও নজর দিতে হবে জাতিসংঘকে।