সিলেটের আবহাওয়া এখন দিনে রোদ আর রাতে বৃষ্টি। তবে সূর্য যেভাবে রুদ্র রূপ ধারণ করে আছে তাতে বৃষ্টিকে হার মানতেই হচ্ছে রোদের কাছে। আর ওদিকে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের যুবাদের সূর্যের মতোই রূপ!
আফগানিস্তান সেই উত্তাপে টিকতে পারেনি। স্রেফ উড়ে গেছে কাজী অনিক, নাঈম হাসানের বোলিং তোপে। ১৪৫ রানের বড় জয়ে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে দারুণ সূচনা বাংলাদেশের। যুবাদের ম্যানেজার এহসানুল হক সেজানের ৫-০ আশার পালে হাওয়া লাগালো প্রথম ওয়ানডের ফল। অথচ সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা আফগানিস্তানেরই ছিল। সকালে দারুণ বোলিং করেন সফরকারী দলের বোলাররা। ওপেনিং জুটিতে সাঈফ হাসান-পিনাক ঘোষের ৩৫ রানের পর অধিনায়ক সাঈফের বিদায়ে বিপর্যয়ের শুরু। উইকেট হারানোর মিছিলে বাংলাদেশ যে দু’শ করতে পারবে সেটাও ভাবেনি কেউ। ৮৪ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ আলোর পথ দেখায় তৌহিদ হৃদয়ের দারুণ এক ফিফটি। সঙ্গে ৮ম উইকেটে কাজী অনিক আর রবিউল হকের ৪৮ রানের জুটি। ৮৫ বলে ৫২ রানের ইনিংসে তৌহিদ চার মারেন ৪টি। এছাড়া মাহিদুল ইসলাম ৩৫ ও অনিকের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। তবে যে টপ অর্ডারে বাংলাদেশের এশিয়া কাপ আর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ভরসা সেখানে পুরো ব্যর্থ সাঈফ হাসান, পিনাক ঘোষরা। ৯ উইকেটে বাংলাদেশের ২২২ রানের জবাব দিতে নেমে কাজী অনিকের বোলিং তোপে পড়ে আফগানিস্তান। শারীরিক গঠন, বোলিং রানআপ সবকিছুতেই মোস্তাফিজুর রহমানের ছায়া অনিকের কাছে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মোস্তাফিজে পুড়েই মূলত ছাই হয়ে যায় আফগান যুবাদের ব্যাটিং। ওপেনার নাভিদ ওবায়েদকে দিয়ে শুরু করা অনিক মুজিবকে আউট করে শেষ করেন আফগান ইনিংস। ইনিংস শেষে তার বোলিং ফিগার ৮-২-২৭-৪। নাইম হাসানও কম যান না। অনিকের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশকে শুরুতেই বিশাল জয় উপহার দিলেন। নাইমের বোলিং ফিগার তো আরো ঝাঁঝালো- ৯-৪-১১-৩! বাংলাদেশের দুই পেসার, স্পিনারে আফগানিস্তান ব্যাটিংয়ের সর্বনাশ। ৩৪.২ ওভারে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট তারা। ওপেনার তারিক স্ট্যানিকজাই ১৬ আর নিসার ১০ ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেননি আর কেউ। ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে বাংলাদেশের কাজী অনিক ম্যাচ সেরা। দুই দলের দ্বিতীয় ওয়ানডে আগামীকাল সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে সকাল ৯টায়।
Check Also
‘পাকিস্তান দলে প্রত্যেক ক্রিকেটারই অধিনায়ক’
টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে পেরে ওঠেনি পাকিস্তান। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচ পণ্ড হয়, …