সেখানের স্থানীয় মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন এবং দৈনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। আমি আশা করব সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ ও গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকবে।’
বৃহস্পতিবার কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয় যে, জিনজিয়াং প্রদেশে চীনের নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালানো শুরু করেছে। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সমাবেশ শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ অক্টোবর। ধারণা করা হচ্ছে, এ সমাবেশের মাধ্যমে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং থাকবেন।
এ সমাবেশের আগে বিচ্ছিন্নতাবাদী ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) জঙ্গিদের দমনে অভিযান শুরু করেছে চীন। খবরে আরও বলা হয়, এ সমাবেশ কেন্দ্র করে রাস্তায় নিরাপত্তা চৌকিতে স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এ নিরাপত্তার খবরকে কিছু মহল জিনজিয়াংয়ে অভিযানের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেছে বলে জানান লু কাং।
বিশ্ব উইঘুর কংগ্রেস গোষ্ঠীর মুখপাত্র ডিলক্সাট রাক্সিট বলেন, প্রত্যেক উইঘুর মুসলিমদের বাড়ি থেকে ইসলাম সম্পর্কিত সব ধরনের নথি সরকারি কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়ার নির্দেশ তারা পেয়েছেন।
এক নোটিশের মাধ্যমে কোরআন ও জায়নামাজও সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রোজেক্ট চীনের প্রতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের অধীনে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
জিনজিয়াং, পাকিস্তান অধ্যুষিত কাশ্মীর ও আফগানিস্তান সীমান্তবর্তী চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা। জিনজিয়াংয়ে ইটিআইএমের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে লড়ছে চীন।
ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে ইটিআইএমের যোগসাজশ আছে বলেও অভিযোগ বেইজিংয়ের। তবে মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, দমনপীড়নের জন্য চীন এসব অভিযোগ করে থাকে।
চীনের অন্যান্য অঞ্চল থেকে হান সম্প্রদায়ের লোকদের এনে জড়ো করার প্রতিবাদে এ প্রদেশটিতে বিক্ষোভ করছেন সংখ্যাগুরু উইঘুর মুসলিমরা। পিটিআই।