ডেস্ক: বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক করা হলেও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠকটি শেষ হয়। চীন-রাশিয়ার মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ দেশের জোরালো সমর্থন মিয়ানমার সরকারের দিকেই। ফলে কোনো সমাধানও বের করা যায়নি। এ অবস্থায় ফের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক ডাকা হয়েছে। এতে বক্তব্য দেবেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সরকারই কফি আনানকে প্রধান করে আন্তর্জাতিক কমিশন গঠন করেছিল। মিয়ানমারের সিত্তু, মংডু, বুথিডং, ইয়াংগুন, নেপিদো ছাড়াও ব্যাংকক, ঢাকা, কক্সবাজার ও জেনেভায় অন্তত ১৫৫টি বৈঠকের পর ৮৮ সুপারিশ করেছিল আনান কমিশন। ২৪ আগস্ট রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরপরই নতুন করে সহিংসতা শুরু হয় রাখাইনে। যার ফলে দেশান্তরী হয় পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। শত শত রোহিঙ্গা প্রাণ হারায়।
রিপোর্টে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবিক সহায়তা, লোকজনের অবাধ চলাচল ও নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছিলেন কফি আনান কমিশনের সদস্যরা। তারপরই রহস্যজনকভাবে রাখাইনের বেশ কয়েকটি তল্লাশিচৌকিতে ২৪ আগস্ট রাতে হামলা চালানো হয়। যার সূত্র ধরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনে ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ অভিযান শুরু করে।
Check Also
ঢাকা প্রসঙ্গে বদলাতে পারে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি
পাঁচ দশকের বিরতির পর গত মাসে বাংলাদেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে একটি পাকিস্তানি পণ্যবাহী জাহাজ ডক …