কক্সবাজার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকার রোহিঙ্গাদের মানবিক দৃষ্টকোণ থেকে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সবকিছু করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিকভাবে চাপ প্রয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন, যাতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।
রোববার কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্র“ জিরো পয়েন্ট এলাকায় রোহিঙ্গা বস্তি পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতিগত নিধন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এ সংকট নিরসনে জাতিসংঘ ও ক্ষমতাধর দেশগুলোর ওপরও চাপ বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিয়ে রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানান। এরপর থেকে মিয়ানমানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশে সফরে আসছে। দু’দেশের কূটনৈতিক পর্যায়ের আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ কোনো সন্ত্রাসীর স্থান হবে না জানিয়ে এ সময় স্বরাষ্টমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো সন্ত্রাসীকে বাংলাদেশের ভূখ- ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেখানে অবস্থান নেওয়া ১৮ শ’ রোহিঙ্গার মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে তিনি উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সেন্টার পরিদর্শনসহ সার্বিক বিষয় ও কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন, কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক মঞ্জুরুল হাসান খান প্রমুখ।